ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনূসের মামলা বাংলাদেশকে হেয় করার চক্রান্ত : আইনমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 47

সিনিয়র রিপোর্টার : ইউনূসের মামলা নিয়ে দেশে বিদেশে বাংলাদেশকে হেয় করার চক্রান্ত চলছে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘দেশকে হেয় করার জন্য ও ব্যক্তিস্বার্থে ষড়যন্ত্র চলছে, যা করা হচ্ছে তা দেশকে পরাজিত করার জন্য। যারা বিদেশ থেকে বিচারকাজ দেখতে আসতে চায়, তাদের তো আরও আগে আসা উচিত ছিল। এখন দেখার কিছু নেই। তারপরও আপিল বিভাগে এখন যে কার্যক্রম চলবে তা যে কেউ দেখতে পারেন।’

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের  এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, সব অকাঠ্য প্রমাণ থাকার পরও বিদেশে ছড়ানো হচ্ছে- তার (ড. ইউনূস) বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেগুলো প্রথমে মিথ্যা। বলা হচ্ছে আমরা তাকে হয়রানির জন্য এটা করছি। দুটো কথাই- সরকার ড. ইউনূসকে হয়রানির করার জন্য কিছু করছে না, সরকার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছে না। ২০১৭ সাল থেকে শ্রমিকরা বলে আসছে অধিকার ক্ষুণ্য হচ্ছে ও ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্র্য দেওয়া হচ্ছে না। এরপর যে মামলা হয়েছে, সেটা শ্রমিকরা করেছিল। শ্রমিকদের মামলা ও আশ্বাসের পরও ন্যায্যপ্রাপ্তি না দেওয়ায় শ্রম অধিদপ্তর মামলা করে।তাদের সব দেওয়ার আশ্বাসের পর মামলা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। মানে অপরাধ স্বীকৃত।

আনিসুল হক বলেন, সব পক্ষ স্বীকার করেছে যে শ্রমিকরা ন্যায্যপ্রাপ্য পাচ্ছিলেন না। যতবার সময় চেয়েছেন ড. ইউনূস সুযোগ পেয়েছেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছে দুপক্ষের আইনজীবী। সব ধারা বিশ্লেষণ করে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশ থেকে দূর হওয়া দরকার।

শ্রম আদালত ২২ হাজার পেন্ডিং মামলা রয়েছে, সেখানে এ মামলা এতো দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আইনের ব্যত্যয় করে কিছু করা হয়নি। সাধারণ মানুষ এসব মামলার ট্রায়াল দ্রুত দেখতে চায়। দেশের শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী একজন শ্রম দপ্তরের পরিদর্শক ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শন করে সমস্যা দেখতে পান। ২০২১ সালের ১ মার্চ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির জবাব যুক্তিযুক্ত না হওয়ায় ওই বছরের ১ আগস্ট আবারও গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শন করা হয়। ওই মাসের ১৯ তারিখে আবার আইন লঙ্ঘনের চিঠি দেওয়া হয়। ওই বছরের ৯ অক্টোবর চিঠির জবাবের প্রেক্ষিতে ৩০৩/ঙ ও ৩০৭ ধারায় মামলা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব জুড়ে অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের বক্তব্যের পর সবাই সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চায়, তাই এই সংবাদ সম্মেলন। তাছাড়ানে, বিশ্বজুড়ে অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের বক্তব্যের পর সবাই সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চায়, তাই এই সংবাদ সম্মেলন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

ইউনূসের মামলা বাংলাদেশকে হেয় করার চক্রান্ত : আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : ইউনূসের মামলা নিয়ে দেশে বিদেশে বাংলাদেশকে হেয় করার চক্রান্ত চলছে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘দেশকে হেয় করার জন্য ও ব্যক্তিস্বার্থে ষড়যন্ত্র চলছে, যা করা হচ্ছে তা দেশকে পরাজিত করার জন্য। যারা বিদেশ থেকে বিচারকাজ দেখতে আসতে চায়, তাদের তো আরও আগে আসা উচিত ছিল। এখন দেখার কিছু নেই। তারপরও আপিল বিভাগে এখন যে কার্যক্রম চলবে তা যে কেউ দেখতে পারেন।’

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের  এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, সব অকাঠ্য প্রমাণ থাকার পরও বিদেশে ছড়ানো হচ্ছে- তার (ড. ইউনূস) বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেগুলো প্রথমে মিথ্যা। বলা হচ্ছে আমরা তাকে হয়রানির জন্য এটা করছি। দুটো কথাই- সরকার ড. ইউনূসকে হয়রানির করার জন্য কিছু করছে না, সরকার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছে না। ২০১৭ সাল থেকে শ্রমিকরা বলে আসছে অধিকার ক্ষুণ্য হচ্ছে ও ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্র্য দেওয়া হচ্ছে না। এরপর যে মামলা হয়েছে, সেটা শ্রমিকরা করেছিল। শ্রমিকদের মামলা ও আশ্বাসের পরও ন্যায্যপ্রাপ্তি না দেওয়ায় শ্রম অধিদপ্তর মামলা করে।তাদের সব দেওয়ার আশ্বাসের পর মামলা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। মানে অপরাধ স্বীকৃত।

আনিসুল হক বলেন, সব পক্ষ স্বীকার করেছে যে শ্রমিকরা ন্যায্যপ্রাপ্য পাচ্ছিলেন না। যতবার সময় চেয়েছেন ড. ইউনূস সুযোগ পেয়েছেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছে দুপক্ষের আইনজীবী। সব ধারা বিশ্লেষণ করে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশ থেকে দূর হওয়া দরকার।

শ্রম আদালত ২২ হাজার পেন্ডিং মামলা রয়েছে, সেখানে এ মামলা এতো দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আইনের ব্যত্যয় করে কিছু করা হয়নি। সাধারণ মানুষ এসব মামলার ট্রায়াল দ্রুত দেখতে চায়। দেশের শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী একজন শ্রম দপ্তরের পরিদর্শক ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শন করে সমস্যা দেখতে পান। ২০২১ সালের ১ মার্চ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির জবাব যুক্তিযুক্ত না হওয়ায় ওই বছরের ১ আগস্ট আবারও গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শন করা হয়। ওই মাসের ১৯ তারিখে আবার আইন লঙ্ঘনের চিঠি দেওয়া হয়। ওই বছরের ৯ অক্টোবর চিঠির জবাবের প্রেক্ষিতে ৩০৩/ঙ ও ৩০৭ ধারায় মামলা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব জুড়ে অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের বক্তব্যের পর সবাই সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চায়, তাই এই সংবাদ সম্মেলন। তাছাড়ানে, বিশ্বজুড়ে অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের বক্তব্যের পর সবাই সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চায়, তাই এই সংবাদ সম্মেলন।