ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন :খাদ্য কর্মকর্তারা বাজার মনিটরিং করে না বলে এমন অবস্থা হয়েছে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 51
অনলাইন ডেস্ক  : খাদ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, এত দিন আপনারা কোথায় ছিলেন, আপনারা বাজার মনিটরিং করেন নাই বলে এমন অবস্থা হয়েছে। এ সময় তিনি মাঠ পর্যায়ে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মনিটরিং জোরদার করার নির্দেশ দেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। বগুড়া জেলা প্রশাসক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলগেট থেকে যখন চাল সরবরাহ করা হবে, তখন বস্তার গায়ে যেন সরবরাহের তারিখ ও মূল্য লেখা থাকে। নির্বাচনের আগে নয় মাস চালের বাজার স্থিতিশীল ছিল, যখন চালের দাম বাড়ার কথা তখন চালের দাম বাড়েনি। যেই নির্বাচন হয়ে গেল অমনি চালের দাম বেড়ে গেল। তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২৩ তৈরি হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। এটি সংসদে অনুমোদন পেলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। শুধু জরিমানা করেই ছাড় নয়, অবৈধ মজুতদারেরা না শোধরালে তাদের জেলে যেতে হবে।
কুষ্টিয়ায় চালকল মালিকদের অবৈধ মজুদের একটি কৌশল দেখেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটা মিলই তিন-চারটা লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছে। কিন্তু কোনো লাইসেন্সের কোনো গোডাউন, কার কত ক্যাপাসিটি এটি চিহ্নিত করা নেই। এটা বন্ধ করতে হবে। নাহলে ওইগুলো জোড়া দিয়ে বলবে, আমার চার মিলের ক্যাপাসিটি। প্রত্যেক লাইসেন্সের বিপরীতে পৃথক গোডাউন ও অফিস থাকতে হবে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্যাপাসিটির বেশি অবৈধ মজুত করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ভ্যালু অ্যাড করে বাজারে পণ্য বিক্রি করে। সেই কারণে তারা বেশি দামে বাজার থেকে ধান কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাজার থেকে অল্প পরিমাণ ধান কিনলেও তার প্রভাব পড়ে খুব বেশি। মিলাররা কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর দোষ দেয়। এটা ভালো লক্ষণ নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের অবৈধভাবে ধান চাল কিনতে মিলাররাই সহযোগিতা করে। তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে প্যাকেট করে চাল সরবরাহ করেন মিলাররাই। ঢাকার খুচরা বাজারে অভিযানে গেলে অভিযোগ করে মিলাররা চাল ছাড়ছে না, আর মিলাররা বলছেন তাদের চাল বিক্রি হচ্ছে না।
বাজার বাড়লে বেশি দামে বিক্রি করবেন এটা মেনে নেওয়া হবে না। এই ভরা আমন মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কোনো যুক্তিগত কারণ নেই। এবার আমন ধান যা উৎপাদন হয়েছে তা চাহিদার অনেক বেশি, বলেন তিনি। এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বাজারে স্বাভাবিক চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে মিলারদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে অবৈধ মজুদ বিরোধী অভিযান শুরু করেছি। সারাদেশে অভিযান এখন চলছে। আমরা এটি চলমান রাখব। মতবিনিময় সভায় চাল ব্যবসায়ী ছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত প্রদীপ কুমার দাস, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন, বগুড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন বক্তব্য রাখেন। 
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন :খাদ্য কর্মকর্তারা বাজার মনিটরিং করে না বলে এমন অবস্থা হয়েছে

আপডেট সময় ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক  : খাদ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, এত দিন আপনারা কোথায় ছিলেন, আপনারা বাজার মনিটরিং করেন নাই বলে এমন অবস্থা হয়েছে। এ সময় তিনি মাঠ পর্যায়ে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মনিটরিং জোরদার করার নির্দেশ দেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। বগুড়া জেলা প্রশাসক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলগেট থেকে যখন চাল সরবরাহ করা হবে, তখন বস্তার গায়ে যেন সরবরাহের তারিখ ও মূল্য লেখা থাকে। নির্বাচনের আগে নয় মাস চালের বাজার স্থিতিশীল ছিল, যখন চালের দাম বাড়ার কথা তখন চালের দাম বাড়েনি। যেই নির্বাচন হয়ে গেল অমনি চালের দাম বেড়ে গেল। তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২৩ তৈরি হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। এটি সংসদে অনুমোদন পেলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। শুধু জরিমানা করেই ছাড় নয়, অবৈধ মজুতদারেরা না শোধরালে তাদের জেলে যেতে হবে।
কুষ্টিয়ায় চালকল মালিকদের অবৈধ মজুদের একটি কৌশল দেখেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটা মিলই তিন-চারটা লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছে। কিন্তু কোনো লাইসেন্সের কোনো গোডাউন, কার কত ক্যাপাসিটি এটি চিহ্নিত করা নেই। এটা বন্ধ করতে হবে। নাহলে ওইগুলো জোড়া দিয়ে বলবে, আমার চার মিলের ক্যাপাসিটি। প্রত্যেক লাইসেন্সের বিপরীতে পৃথক গোডাউন ও অফিস থাকতে হবে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্যাপাসিটির বেশি অবৈধ মজুত করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ভ্যালু অ্যাড করে বাজারে পণ্য বিক্রি করে। সেই কারণে তারা বেশি দামে বাজার থেকে ধান কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাজার থেকে অল্প পরিমাণ ধান কিনলেও তার প্রভাব পড়ে খুব বেশি। মিলাররা কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর দোষ দেয়। এটা ভালো লক্ষণ নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের অবৈধভাবে ধান চাল কিনতে মিলাররাই সহযোগিতা করে। তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে প্যাকেট করে চাল সরবরাহ করেন মিলাররাই। ঢাকার খুচরা বাজারে অভিযানে গেলে অভিযোগ করে মিলাররা চাল ছাড়ছে না, আর মিলাররা বলছেন তাদের চাল বিক্রি হচ্ছে না।
বাজার বাড়লে বেশি দামে বিক্রি করবেন এটা মেনে নেওয়া হবে না। এই ভরা আমন মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কোনো যুক্তিগত কারণ নেই। এবার আমন ধান যা উৎপাদন হয়েছে তা চাহিদার অনেক বেশি, বলেন তিনি। এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বাজারে স্বাভাবিক চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে মিলারদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে অবৈধ মজুদ বিরোধী অভিযান শুরু করেছি। সারাদেশে অভিযান এখন চলছে। আমরা এটি চলমান রাখব। মতবিনিময় সভায় চাল ব্যবসায়ী ছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত প্রদীপ কুমার দাস, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন, বগুড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন বক্তব্য রাখেন।