ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওবায়দুল কাদের : মিয়ানমারের প্রতি উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 92

সিনিয়র রিপোর্টার : কোনো অবস্থাতেই বাস্তুচ্যুতদের ঢুকতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের প্রতি উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমার ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যা বলেছেন সেটিই আমাদের দলীয় অবস্থান। ওই দেশের (মিয়ানমার) অভ্যন্তরীণ থেকে ছোড়া মর্টারের শেল পড়ছে আমাদের সীমান্তে। এরইমধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আবার আকাশসীমাও লঙ্ঘন করছে; তাদের নিজেদের সমস্যার কারণে। আমরা সমস্যার সম্মুখিন হব কেন? এ বিষয়ে  জাতিসংঘ এবং চীনের উদ্যোগ নেয়া উচিত। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই আমাদেরকে সেই নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তার মানে এই নয় যে, আমাদের গায়ে এসে পড়বে আর আমরা ছেড়ে দেব। সেটার জন্য আমরা সবসময় তৈরি আছি। আমরা ওখানে শক্তি বাড়িয়েছি। পুলিশ ও কোস্টগার্ডকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠির প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লম্বা চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে বিশেষভাবে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।

সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন আপনারা (বিএনপি) কী বলবেন? কে আপনাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য আসবে? কে আমাদেরকে (আওয়ামী লীগ) হটাতে আসবে? যাদের আশায় ছিলেন তারা তো এখন একসঙ্গেই কাজ করার জন্য এসেছেন। নেতারা তো অনেকেই পালিয়ে আছেন, অনেকে প্রকাশ্যে আসেন না। এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে? দেশের জনগণ আপনাদের থেকে সরে গেছে। বিদেশি বন্ধুরা তাদের ছেড়ে চলে গেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ওবায়দুল কাদের : মিয়ানমারের প্রতি উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই

আপডেট সময় ০৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : কোনো অবস্থাতেই বাস্তুচ্যুতদের ঢুকতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের প্রতি উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমার ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যা বলেছেন সেটিই আমাদের দলীয় অবস্থান। ওই দেশের (মিয়ানমার) অভ্যন্তরীণ থেকে ছোড়া মর্টারের শেল পড়ছে আমাদের সীমান্তে। এরইমধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আবার আকাশসীমাও লঙ্ঘন করছে; তাদের নিজেদের সমস্যার কারণে। আমরা সমস্যার সম্মুখিন হব কেন? এ বিষয়ে  জাতিসংঘ এবং চীনের উদ্যোগ নেয়া উচিত। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই আমাদেরকে সেই নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তার মানে এই নয় যে, আমাদের গায়ে এসে পড়বে আর আমরা ছেড়ে দেব। সেটার জন্য আমরা সবসময় তৈরি আছি। আমরা ওখানে শক্তি বাড়িয়েছি। পুলিশ ও কোস্টগার্ডকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠির প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লম্বা চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে বিশেষভাবে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।

সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন আপনারা (বিএনপি) কী বলবেন? কে আপনাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য আসবে? কে আমাদেরকে (আওয়ামী লীগ) হটাতে আসবে? যাদের আশায় ছিলেন তারা তো এখন একসঙ্গেই কাজ করার জন্য এসেছেন। নেতারা তো অনেকেই পালিয়ে আছেন, অনেকে প্রকাশ্যে আসেন না। এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে? দেশের জনগণ আপনাদের থেকে সরে গেছে। বিদেশি বন্ধুরা তাদের ছেড়ে চলে গেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে ।