সিনিয়র রিপোর্টার : আসন্ন ভারত সফরে মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে নিয়ে আলোচনা হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে আমরা সার্বিক বিষয়গুলো আলোচনা করব, যেহেতু মিয়ানমার ভারতেরও প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আমাদেরও প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাছাড়া মিয়ানমার থেকে যাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বহু আগে থেকেই ভারতের সহযোগিতা চেয়েছি। সুতরাং এ বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবেই আলোচিত হবে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের অভ্যন্তরীণ কনফ্লিক্টের কারণে আমাদের দেশে তাদের মানুষের প্রবেশ। তাদের ওখান থেকে গোলা-বারুদ এসে আমাদের এখানে পড়া এবং আমাদের মানুষ আহত-নিহত হওয়া এই পুরো ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গত সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে ২২৯ জন বিজিপি (বর্ডার গার্ড পুলিশ) সদস্য এসেছেন। এর মধ্যে আরও কেউ এসেছে কি না আমি জানি না, আসার সম্ভাবনা আছে। তারা আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং কয়েকজন আহত। তাদের প্রাথমিকভাবে কক্সবাজারে, পরে চট্টগ্রাম শহরে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের মর্টারশেল আমাদের দেশের অভ্যন্তরে পড়েছে ৩০টির মতো এবং দু’জন নিহত হয়েছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের যেখানে আমরা ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি, সেই প্রেক্ষাপটে এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত, অগ্রহণযোগ্য-এটা আমরা জানিয়েছি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত তার সরকারের কাছে আমাদের এই কড়া প্রতিবাদের বার্তাটা পৌঁছে দেবেন।

‘সরকারের নতজানু নীতির কারণে মিয়ানমার সীমান্তে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে’ রিজভীর এমন দাবির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারের নীতির কারণে ওখানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরকান আর্মির সংঘর্ষ হচ্ছে? আসলে রিজভীর বক্তব্য পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।