ইমরানপন্থিরা সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলে কে হবেন প্রধান মন্ত্রী?
-
ডেস্ক :
-
আপডেট সময়
০৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- 133
অনলাইন ডেস্ক : পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে অন্তত ১৩৪ আসনে জয়লাভ করতে হবে। তবে ইমরান খানের তেহরিক-ই-পাকিস্তান (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) এবং বিলওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এখনো সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, দেশটির জাতীয় পরিষদের মোট ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২১০টি আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৮৯টি আসনে জয়লাভ করেছেন।
অন্যদিকে ৬০টি আসনে জয় পেয়েছে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন এবং পিপিপি জয় পেয়েছে ৪৭টি আসনে। অর্থাৎ কোনো দলই সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। তাই সরকার গঠন করতে অবশ্যই জোট গঠন করতে হবে দলগুলোকে। তবে ইতোমধ্যেই পিটিআই নেতা গহর জানিয়েছেন, দলটি কারও সঙ্গে জোট করতে চায় না। এদিকে সরকার গঠন করতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন নওয়াজ শরিফ। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পিএমএল-এনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য স্বতন্ত্রদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত না থেকেও সরকার গঠন করতে পারবেন। তবে এর জন্য তাদেরকে কমপক্ষে ১৩৪ আসন দখল করতে হবে। নিয়মানুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোট করতে চান তবে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই তিনদিনের মধ্যে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে যদি ইমরানপন্থিরা নওয়াজের দলের সঙ্গে যোগ দেন তাহলে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
জাতীয় পরিষদে স্বতন্ত্রদের জন্য একটি বড় অসুবিধা হলো, তারা সংরক্ষিত আসনগুলো থেকে বঞ্চিত হবেন। পাকিস্তানের সংরক্ষিত আসন মোট ৭০টি। এর মধ্যে নারীদের জন্য ৬০টি আর সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি আসন বরাদ্দ। এই আসনগুলো সাধারণত দলীয় আসনের ভিত্তিতে বণ্টন করা হয়। যেহেতু স্বতন্ত্ররা কোনো দলের অন্তর্ভুক্ত নয় তাই তারা কোনো সংরক্ষিত আসন পাবেন না।
ট্যাগস