ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আনসার বাহিনীকে স্মার্ট ও আধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 129

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জাতীয় যেকোন প্রয়োজনে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে আনসার বাহিনী। তাই এই বাহিনীকে আরও স্মার্ট ও আধুনিক করতে কাজ করছে সরকার।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাতীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা ও আনসার ভিডিপির ৪৪তম সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ছাদখোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন তিনি। ঘুরে দেখেন বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের জমায়েত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ১৭ কোটি মানুষের দেশ। কাজেই এই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, আর্থ সামাজিক উন্নতি করা এবং তাদের নিরাপত্তা বিধান করা, এটাই আমাদের কাজ। বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাস ও রেলে আগুন দেওয়াও কঠোরভাবে প্রতিহত করেছে আনসার। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আনসার বাহিনীকে আরও সজাগ থাকতে হবে।

২০৪১ সালের মধ্যে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব। নিরাপদ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সহনীয় সমৃদ্ধশালী ব-দ্বীপ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষ যেন সুরক্ষিত থাকে, উন্নত জীবন পায় এবং প্রত্যেকে যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করছি। বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ, তারাই হবে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক।

শেখ হাসিনা বলেন, পুরাতন আইন পরিবর্তন করে আমরা ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২৩’ পাস করেছি। এতে করে তারা অন্য বাহিনীর সদস্যদের মতো প্রথম দিন থেকেই স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার, ইউনিয়ন প্লাটুন কমান্ডার ও ইউনিয়ন দলনেতা/দলনেত্রীদের আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে ও মাসিক সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাধারণ আনসার সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধি এবং রেশনসামগ্রীর উপকরণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। নারী ভিডিপি সদস্যদের জন্য আধুনিক ডিজাইনের নতুন শাড়ি প্রবর্তন করা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিকাশে এ বাহিনীর অবদান উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ গেমস এ পরপর ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সাফল্য অর্জনের পর হতে অদ্যাবধি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের সুনাম ও সম্মান বৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রাখছেন। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের নতুন ও খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ তৈরির সুতিকাগার। তারা যাতে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও সুনাম বয়ে আনতে পারে সেজন্য বাহিনীতে একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শহরের পাশাপাশি গ্রামের উন্নয়নেও আনসার বাহিনীকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রাম পর্যায়ে মানুষের কর্মসংস্থানে, গ্রামভিত্তিক আপনারা আরও দক্ষতার সঙ্গে মানুষকে সম্পৃক্ত করে কাজ করে যাবেন। যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে যাবে। তাছাড়া গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আর এতে সহযোগিতা করছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম উদ্দিন, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির কমান্ড্যান্ট মো. নূরুল হাসান ফরিদী, বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে অসীম সাহসিকতা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বাহিনীটির ১৮০ জন সদস্যকে প্রেসিডেন্ট গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক, বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক, প্রেসিডেন্ট আনসার পদক ও বাংলাদেশ আনসার পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আইনজীবী হত্যার তদন্তের নির্দেশ, দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আনসার বাহিনীকে স্মার্ট ও আধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জাতীয় যেকোন প্রয়োজনে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে আনসার বাহিনী। তাই এই বাহিনীকে আরও স্মার্ট ও আধুনিক করতে কাজ করছে সরকার।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাতীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা ও আনসার ভিডিপির ৪৪তম সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ছাদখোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন তিনি। ঘুরে দেখেন বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের জমায়েত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ১৭ কোটি মানুষের দেশ। কাজেই এই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, আর্থ সামাজিক উন্নতি করা এবং তাদের নিরাপত্তা বিধান করা, এটাই আমাদের কাজ। বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাস ও রেলে আগুন দেওয়াও কঠোরভাবে প্রতিহত করেছে আনসার। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আনসার বাহিনীকে আরও সজাগ থাকতে হবে।

২০৪১ সালের মধ্যে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব। নিরাপদ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সহনীয় সমৃদ্ধশালী ব-দ্বীপ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষ যেন সুরক্ষিত থাকে, উন্নত জীবন পায় এবং প্রত্যেকে যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করছি। বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ, তারাই হবে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক।

শেখ হাসিনা বলেন, পুরাতন আইন পরিবর্তন করে আমরা ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২৩’ পাস করেছি। এতে করে তারা অন্য বাহিনীর সদস্যদের মতো প্রথম দিন থেকেই স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার, ইউনিয়ন প্লাটুন কমান্ডার ও ইউনিয়ন দলনেতা/দলনেত্রীদের আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে ও মাসিক সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাধারণ আনসার সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধি এবং রেশনসামগ্রীর উপকরণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। নারী ভিডিপি সদস্যদের জন্য আধুনিক ডিজাইনের নতুন শাড়ি প্রবর্তন করা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিকাশে এ বাহিনীর অবদান উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ গেমস এ পরপর ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সাফল্য অর্জনের পর হতে অদ্যাবধি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের সুনাম ও সম্মান বৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রাখছেন। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের নতুন ও খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ তৈরির সুতিকাগার। তারা যাতে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও সুনাম বয়ে আনতে পারে সেজন্য বাহিনীতে একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শহরের পাশাপাশি গ্রামের উন্নয়নেও আনসার বাহিনীকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রাম পর্যায়ে মানুষের কর্মসংস্থানে, গ্রামভিত্তিক আপনারা আরও দক্ষতার সঙ্গে মানুষকে সম্পৃক্ত করে কাজ করে যাবেন। যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে যাবে। তাছাড়া গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আর এতে সহযোগিতা করছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম উদ্দিন, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির কমান্ড্যান্ট মো. নূরুল হাসান ফরিদী, বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে অসীম সাহসিকতা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বাহিনীটির ১৮০ জন সদস্যকে প্রেসিডেন্ট গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক, বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক, প্রেসিডেন্ট আনসার পদক ও বাংলাদেশ আনসার পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।