কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল : হোটেল না পেয়ে অনেকেই রাস্তায় অবস্থান করছেন
-
ডেস্ক :
-
আপডেট সময়
০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- 191
এস এম বাপ্পী : পর্যটকের ঢল নেমেছে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটায়। সাপ্তাহিক ছুটি আর বসন্ত উদযাপনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পর্যটক বর্তমানে এ পর্যটন কেন্দ্রে অবস্থান করছে। আজ কুয়াকাটায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি পর্যটক অবস্থান করছেন। চাহিদার তুলনায় হোটেল-মোটেলে জায়গা কম থাকায় পর্যটকরা অনেকেই রুম পাচ্ছেন না। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন যারা বুকিং না দিয়ে কুয়াকাটায় গেছেন।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই সৈকতের তিন নদীর মোহানা, ঝাউবন শুঁটকি মার্কেট, লেম্বুর বনসহ সৈকতের সবখানেই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। ইতোমধ্যে আগামী ২১, ২২, ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল-মোটেল ও কটেজ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন রোজার আগে ধারাবাহিকভাবে এমন চাপ থাকবে পর্যটকদের। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর কুয়াকাটায় তেমন পর্যটক আসেনি। ভরা মৌসুমে আমাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে কিছুটা পর্যটকদের সাড়া মিলছে। এতে হাসি ফুটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে। আশা করছি এই ধারাবাহিকতা সারা বছর থাকবে।
খুলনা কম্পিউটার ব্যবসায়ী সমিতির প্রায় ৪শতাধিক সদস্য ৩ দিনের মিলন মেলা-২০২৪ কুয়াকাটার কয়েকটি হোটেলে অবস্থান করছে। খুলনা জলিল টাওয়ারের আর এন কম্পিউটারের নূর এবং রনির সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক সাথে এই রকম জনগণের উপস্থিতি আগে দেখা যায়নি। তারা বলেন, এর আগেও এই সুমুদ্র সৈকতে এসেছিল কিন্তু মানুষের একসাথে এত উপস্থিতি তখন ছিল না। ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, আজ কুয়াকাটায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি পর্যটক অবস্থান করছেন। যে সকল পর্যটক অগ্রিম বুকিং ছাড়া এসেছেন তাদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। হোটেল না পাওয়া পর্যটকদের সৈকতের ভেড়িবাদ, বালিয়াড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাগ হাতে এদিক ওইদিক ছুটতে দেখা গেছে। কেউ কেউ বসে আছেন বিভিন্ন দোকান ও রেস্টুরেন্টে। আগত পর্যটকদের মধ্যে এমন ভোগান্তিতে রয়েছেন শত শত পর্যটক।
ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, আজ কুয়াকাটায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি পর্যটক অবস্থান করছেন। যে সকল পর্যটক অগ্রিম বুকিং ছাড়া এসেছেন তাদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। হোটেল না পাওয়া পর্যটকদের সৈকতের ভেড়িবাদ, বালিয়াড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাগ হাতে এদিক ওইদিক ছুটতে দেখা গেছে। কেউ কেউ বসে আছেন বিভিন্ন দোকান ও রেস্টুরেন্টে। আগত পর্যটকদের মধ্যে এমন ভোগান্তিতে রয়েছেন শত শত পর্যটক। যশোর থেকে আসা জনি বলেন, আমরা ছুটি পেয়ে ৫৬ জন বন্ধু-বান্ধব কুয়াকাটায় ট্যুরে এসেছি। আমরা রিজার্ভ বাস নিয়ে এসেছি। রুম না পাওয়ায় আবার রাতে চলে যাব। সামনে রমজান তাই এখন এসেছি। চমৎকার একটি জায়গা কুয়াকাটা। ইচ্ছে ছিল একদিন থাকার। কিন্তু হোটেল বুকিং না দিয়ে আসায় বিপাকে পড়তে হলো।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ফেব্রুয়ারি মূলত পর্যটকদের ভ্রমণের একটি উপযোগী সময়। এই সপ্তাহে কুয়াকাটায় রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক এসেছে। যা বিগত এক বছরেও হয়নি। কুয়াকাটা যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় পর্যটকদের চাপ বেড়েছে। তাছাড়া বর্তমানে দেশে কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। তাই মানুষ ঘর থেকে নির্ভয়ে বের হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটক বাড়লেও অনেকেই দিনে এসে দিনেই চলে যাচ্ছে। যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুততম হওয়ার কারণে এখন কুয়াকাটা ভ্রমণ করা অনেক সহজ। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, কুয়াকাটায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটকদের আবাসিক সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। হোটেল-মোটেল শতভাগ বুকিং রয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের কঠোর নজরদারি ও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্পটসহ পুরো সৈকত জুড়ে রয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। কুয়াকাটায় দিন দিন পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
ট্যাগস