ঢাকা , শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার পাইকগাছায় আলোচিত ধর্ষণ মামলার মূলহুতা এনামূল অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ আটক

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 328
পাইকগাছা প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় আলোচিত ধর্ষণ মামলার মূলহুতা একাধিক মামলার আসামী এনামূল জোয়াদ্দার (২৫) অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। সে উপজেলার গদাইপুরের একরামুল জোয়াদ্দের ছেলে।এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ব্রিফিং দেন সদ্য পদন্নোতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার কাশিমনগর থেকে তাহাকে আটক করে পুলিশ।তার কাছ থেকে ওয়ান শুটার গান,এক রাউণ্ড গুলি,মাদক,চেতনা নাশক ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।এনামূলের তথ্যমতে তার মায়ের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল ও  ডুমুরিয়ার মালতিয়া গ্রামের দীপক হালদারের ছেলে স্বর্নকার সুমন হালদার (৪০)’র কাছ থেকে চোরাই স্বর্নের দুল উদ্ধার করে পুলিশ। পাইকগাছা উপজেলার রাড়লী ইউনিয়নের বোরহানপুর গ্রামে ১১ ফেব্রুয়ারী বরিবার  রাতের আঁধারে একদল দুর্বৃত্তকারীরা স্থানীয় মান্নান সরদারের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীর চোখ-মুখে সুপার গ্লু আঠা দিয়ে গন-ধর্ষণ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেলে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সহ জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।ইতোমধ্যে পুলিশ এ মামলায় রাড়ুলীর ছামাদ সরদার (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছেন।সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ্য করে থানায় মামলা করেন, মামলা নং-১৩।
এ সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইনস্পেক্টর (তদন্ত) তুষার কান্তি দাশ জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ঘটনার মূল  হোতা এনামূলকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য একটি চুরির ঘটনায় স্বর্ন  উদ্ধারের ঘটনায় আটক সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এনামূলের নামে অস্ত্র, ডাকাতি সহ পূর্বে ৮ টি মামলা রয়েছে। ঘটনার মূল হোতা এনামুলের মা রাশিদাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান, মামলার প্রধান আসামি এনামুল কে আমরা ধরতে সক্ষম হয়েছি। সে আলোচিত ধর্ষণ ও লুটপাট  ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গত ১৫ বছর একাত্তরের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে : মির্জা ফখরুল

খুলনার পাইকগাছায় আলোচিত ধর্ষণ মামলার মূলহুতা এনামূল অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ আটক

আপডেট সময় ০৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
পাইকগাছা প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় আলোচিত ধর্ষণ মামলার মূলহুতা একাধিক মামলার আসামী এনামূল জোয়াদ্দার (২৫) অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। সে উপজেলার গদাইপুরের একরামুল জোয়াদ্দের ছেলে।এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ব্রিফিং দেন সদ্য পদন্নোতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার কাশিমনগর থেকে তাহাকে আটক করে পুলিশ।তার কাছ থেকে ওয়ান শুটার গান,এক রাউণ্ড গুলি,মাদক,চেতনা নাশক ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।এনামূলের তথ্যমতে তার মায়ের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল ও  ডুমুরিয়ার মালতিয়া গ্রামের দীপক হালদারের ছেলে স্বর্নকার সুমন হালদার (৪০)’র কাছ থেকে চোরাই স্বর্নের দুল উদ্ধার করে পুলিশ। পাইকগাছা উপজেলার রাড়লী ইউনিয়নের বোরহানপুর গ্রামে ১১ ফেব্রুয়ারী বরিবার  রাতের আঁধারে একদল দুর্বৃত্তকারীরা স্থানীয় মান্নান সরদারের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীর চোখ-মুখে সুপার গ্লু আঠা দিয়ে গন-ধর্ষণ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেলে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সহ জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।ইতোমধ্যে পুলিশ এ মামলায় রাড়ুলীর ছামাদ সরদার (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছেন।সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ্য করে থানায় মামলা করেন, মামলা নং-১৩।
এ সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইনস্পেক্টর (তদন্ত) তুষার কান্তি দাশ জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ঘটনার মূল  হোতা এনামূলকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য একটি চুরির ঘটনায় স্বর্ন  উদ্ধারের ঘটনায় আটক সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এনামূলের নামে অস্ত্র, ডাকাতি সহ পূর্বে ৮ টি মামলা রয়েছে। ঘটনার মূল হোতা এনামুলের মা রাশিদাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান, মামলার প্রধান আসামি এনামুল কে আমরা ধরতে সক্ষম হয়েছি। সে আলোচিত ধর্ষণ ও লুটপাট  ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।