ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের রিমান্ড মানেই আতংক

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 77
ইসলাম সবুজ : আইনের ভাষায় রিমান্ড বলতে কোনো ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়াকে বোঝায়। সাধারণত, কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ড আবেদনে, তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন যে, আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের রিমান্ড দেওয়া যেতে পারে। তবে, বিশেষ ক্ষেত্রে, আদালত রিমান্ডের মেয়াদ বাড়াতে পারে। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আসামীকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে কোনো শাস্তি দেওয়ার অনুমোদন নেই। তবে, যদি আসামী রিমান্ডে থাকা অবস্থায় পালিয়ে যায়, তাহলে তাকে গ্রেফতারের পর শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আসামীর অধিকারগুলি নিম্নরূপ: তাকে একজন আইনজীবীর সাথে দেখা করার অধিকার আছে। তাকে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অধিকার আছে। তাকে মানবিক আচরণের অধিকার আছে।
রিমান্ডের উদ্দেশ্য হল আসামীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং অপরাধের প্রকৃতি ও ঘটনাস্থল সম্পর্কে জানা। রিমান্ডের মাধ্যমে, তদন্তকারী কর্মকর্তারা আসামীর জবানবন্দি গ্রহণ করতে পারেন, সাক্ষীদের সাথে দেখা করতে পারেন এবং অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেন। রিমান্ড একটি গুরুতর পদক্ষেপ। এটি আসামীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করে। তাই, রিমান্ড আবেদন করার সময় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের অবশ্যই প্রমাণের ভিত্তিতে আবেদন করতে হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার ফৌজদারি কার্যবিধির অপপ্রয়োগই নয়, সংবিধানেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট ‘ব্লাস্ট’। সংস্থাটির এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সংবিধানের ৩৩ ও ৩৫ অনুচ্ছেদে গ্রেফতার ও পুলিশ হেফাজতে আটককৃত ব্যক্তির মৌলিক অধিকার হিসেবে কিছু অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। এই মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের কারণ জানানো, আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করতে দেয়া,  গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থাপন করা, ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়া পুলিশ হেফাজতে আটক না রাখা, সকল প্রকার নির্যাতন থেকে মুক্ত রাখা।
এ’বিষয়ে এডভোকেট সাইদুর রহমান লিটন বলেন সংবিধানে কোথাও উল্লেখ নাই যে একজন রিমান্ডের আসামিকে টর্চারিং করা বা শারীরিকভাবে নির্যাতন করা।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আহতদের দেখতে শনিবার পঙ্গু হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

পুলিশের রিমান্ড মানেই আতংক

আপডেট সময় ০৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ইসলাম সবুজ : আইনের ভাষায় রিমান্ড বলতে কোনো ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়াকে বোঝায়। সাধারণত, কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ড আবেদনে, তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন যে, আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের রিমান্ড দেওয়া যেতে পারে। তবে, বিশেষ ক্ষেত্রে, আদালত রিমান্ডের মেয়াদ বাড়াতে পারে। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আসামীকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে কোনো শাস্তি দেওয়ার অনুমোদন নেই। তবে, যদি আসামী রিমান্ডে থাকা অবস্থায় পালিয়ে যায়, তাহলে তাকে গ্রেফতারের পর শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আসামীর অধিকারগুলি নিম্নরূপ: তাকে একজন আইনজীবীর সাথে দেখা করার অধিকার আছে। তাকে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অধিকার আছে। তাকে মানবিক আচরণের অধিকার আছে।
রিমান্ডের উদ্দেশ্য হল আসামীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং অপরাধের প্রকৃতি ও ঘটনাস্থল সম্পর্কে জানা। রিমান্ডের মাধ্যমে, তদন্তকারী কর্মকর্তারা আসামীর জবানবন্দি গ্রহণ করতে পারেন, সাক্ষীদের সাথে দেখা করতে পারেন এবং অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেন। রিমান্ড একটি গুরুতর পদক্ষেপ। এটি আসামীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করে। তাই, রিমান্ড আবেদন করার সময় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের অবশ্যই প্রমাণের ভিত্তিতে আবেদন করতে হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার ফৌজদারি কার্যবিধির অপপ্রয়োগই নয়, সংবিধানেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট ‘ব্লাস্ট’। সংস্থাটির এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সংবিধানের ৩৩ ও ৩৫ অনুচ্ছেদে গ্রেফতার ও পুলিশ হেফাজতে আটককৃত ব্যক্তির মৌলিক অধিকার হিসেবে কিছু অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। এই মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের কারণ জানানো, আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করতে দেয়া,  গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থাপন করা, ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়া পুলিশ হেফাজতে আটক না রাখা, সকল প্রকার নির্যাতন থেকে মুক্ত রাখা।
এ’বিষয়ে এডভোকেট সাইদুর রহমান লিটন বলেন সংবিধানে কোথাও উল্লেখ নাই যে একজন রিমান্ডের আসামিকে টর্চারিং করা বা শারীরিকভাবে নির্যাতন করা।