সিনিয়র রিপোর্টার : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর অন্তর্ভুক্তি দেশকে আরো কার্যকর গণতন্ত্রের দিকে পরিচালিত করে। তাছাড়া বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারী এবং নারী ভোটারদের সংখ্যা পুরুষদের অনুপাতে বেশি।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিকালে যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের চার্চিল হলে বাংলাদেশ হাই কমিশন কর্তৃক আয়োজিত ‘লেভারেজিং পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি ফর পলিটিক্যাল এমপাওয়ারমেন্ট অব উইমেন: বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীদের যোগ্যতাবলেই বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও জাতীয় সংসদে জায়গা করে নিতে হবে। জাতীয় সংসদের প্রথম নারী স্পিকার হওয়া অনেকে নারীর ক্ষমতায়নের এক বিশাল উদাহরণ হিসেবে ধরে নেন। এটা একটি প্রতীক, যা দিয়ে বোঝা যায় যে, নারী যদি যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, তাহলে সে সাফল্যের শিখরেও পৌঁছতে পারে।
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য রাষ্ট্রকে অবশ্যই লিঙ্গ সংবেদনশীল বিভিন্ন আইন ও নীতি গ্রহণ করতে হবে। লিঙ্গ ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে দেশে নারীর ক্ষমতায়ন দ্রুততর হবে এবং জেন্ডার রেস্পন্সিভ বাজেটিং এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
স্পিকার বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় সংসদে ১৫টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিধান রেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৫০টিতে উন্নীত করেছেন। সরাসরি নির্বাচনে জাতীয় সংসদে অধিক সংখ্যক মহিলা সংসদ সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে তিনি সিপিএ’র মহাসচিব স্টিফেন টুইগের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো থেকে আগত প্রতিনিধি, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম।