সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমরা আমাদের মতো করেছি। ভারত এ ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। বাংলাদেশে নিযুক্ত অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা নির্বাচন নিয়ে যেভাবে ছুটোছুটি করেছেন- ভারতকে আমরা সে ভূমিকায় দেখিনি। তারা বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশ করবে। মূল কথা হলো, ভারত পাশে থাকায় নির্বাচন নিয়ে শক্তিশালী দেশগুলো অশুভ খেলার সাহস পায়নি।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।
কেন ভারতবিরোধী মনোভাব বাড়ানো হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইন্ডিয়া আউট’ বলে ক্যাম্পেইন চালিয়ে বৈরিতা সৃষ্টি সমীচীন নয়। আন্দোলন আর নির্বাচনে ব্যর্থরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এ ধরনের তৎপরতা চালায়। ২১ বছর যারা শাসন করেছিল, এই সময়ে তারা ভারতের সঙ্গে বৈরিতা তৈরি করেছে। যেগুলো শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করে সমাধান করা যেত, সেগুলোও তারা করেনি। শেখ হাসিনার সময় সীমান্তসহ নানা সমস্যা আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। মোদি আর হাসিনার সম্পর্কের অনেক সন্দেহের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন। তিস্তা চুক্তিরও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে, ধৈর্য ধরতে হবে সমাধান হবে। তিক্ততার সৃষ্টি করে এসব সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
সনাতন ধর্মের মানুষদের উদ্দেশে কাদের বলেন, মাইনোরিটি ভাবনাটাই দাসত্বের দোসর, এটাকে ভেঙে ফেলতে হবে। নিজেদের মাইনরিটি কেন ভাববেন! এদেশের ইতিহাস, অর্জন সব বাঙালির অবদান। কিছু মানুষ তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ে সনাতন ধর্মীবলম্বীদের সম্পদ দখল, মন্দির ভাঙচুরসহ নানা অপকর্ম করে। স্পর্শকাতর বিষয়ে তারা কষ্ট দেয়। এসব লোকদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তাদের আসল পরিচয় দুর্বৃত্ত। মূলত দুর্বৃত্তরাই হিন্দুদের জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর করে। এই দুর্বৃত্তরা অভিন্ন শত্রু। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধের বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুবান্ধব সরকারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি, থাকব। ভয়ের কোনো কারণ নেই। এ সময় স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের ব্যাপারে দেশবাসীকে আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার এর সঞ্চালনায় এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক এর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক বাসুদেব ধর ও সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন- খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
বিকাল ৩টায় শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে সারা দেশ ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার প্রায় চার হাজার কাউন্সিলর অংশ নিয়েছেন।