ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন : তৃতীয় লিঙ্গের কেউ যদি বাসা-বাড়িতে, সড়কে ও যানবাহনে চাঁদাবাজি করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • 178

অনলাইন ডেক্স : ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের কেউ যদি বাসা-বাড়িতে, সড়কে ও যানবাহনে চাঁদাবাজি করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন। শনিবার রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন: সম্প্রতি শেরে-বাংলা নগর থানা এলাকায় একটি ঘটনায় তৃতীয় লিঙ্গের একজনের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের বিভিন্ন সদস্যের নামে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব অভিযোগের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে থানায় আগত সেবা প্রার্থীদের দ্রুততম সময়ে ও আন্তরিকতার সাথে সেবা দিতে হবে। মানুষ পুলিশের সেবা পেতে প্রথমে থানায় আসে। ঢাকা মহানগর পুলিশ জনসেবায় কতটা আন্তরিক তা দ্রুততম সময়ে সেবা দিয়ে নগরবাসীকে বুঝাতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মতো পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে আরো বেগবান করতে হবে। রাষ্ট্র আমাদের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে। পেশাদারিত্ব ও কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রমজানে যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। এখন পর্যন্ত রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থা বেশ ভালো অবস্থানে আছে এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। ইতিমধ্যে ট্রাফিক বিভাগের অফিসারদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিকের সিনিয়র অফিসারদের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের অফিসারদেরও রাস্তায় থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, চুরি মামলা, ছিনতাই মামলা, মামলা তদন্ত, চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার ও মূলতবি মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সহ যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন : তৃতীয় লিঙ্গের কেউ যদি বাসা-বাড়িতে, সড়কে ও যানবাহনে চাঁদাবাজি করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে

আপডেট সময় ০৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

অনলাইন ডেক্স : ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের কেউ যদি বাসা-বাড়িতে, সড়কে ও যানবাহনে চাঁদাবাজি করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন। শনিবার রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন: সম্প্রতি শেরে-বাংলা নগর থানা এলাকায় একটি ঘটনায় তৃতীয় লিঙ্গের একজনের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের বিভিন্ন সদস্যের নামে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব অভিযোগের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে থানায় আগত সেবা প্রার্থীদের দ্রুততম সময়ে ও আন্তরিকতার সাথে সেবা দিতে হবে। মানুষ পুলিশের সেবা পেতে প্রথমে থানায় আসে। ঢাকা মহানগর পুলিশ জনসেবায় কতটা আন্তরিক তা দ্রুততম সময়ে সেবা দিয়ে নগরবাসীকে বুঝাতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মতো পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে আরো বেগবান করতে হবে। রাষ্ট্র আমাদের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে। পেশাদারিত্ব ও কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রমজানে যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। এখন পর্যন্ত রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থা বেশ ভালো অবস্থানে আছে এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। ইতিমধ্যে ট্রাফিক বিভাগের অফিসারদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিকের সিনিয়র অফিসারদের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের অফিসারদেরও রাস্তায় থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, চুরি মামলা, ছিনতাই মামলা, মামলা তদন্ত, চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার ও মূলতবি মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সহ যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।