ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তা কখনো ম্যাজিস্ট্রেট আবার কখনো ‘ডিজিএফআইয়ের মেজর’! তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • 140

অনলাইন ডেস্ক  কখনো ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ আবার কখনো ‘ডিজিএফআইয়ের মেজর’ এমন ভুয়া পরিচয়ে মুক্তা পারভিন চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিত। একজনের কাছ থেকেই মুক্তা ১ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রোববার রাজবাড়ী জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে রাজশাহীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র প্রতারণা করছে। তারা নিজেদের কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো ডিজিএফআইয়ের মেজরসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সহজ-সরল ও নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। 

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম এলাকার শেখ আবদুল্লাহের (৩৭) কাছ থেকে সরকারি দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। একপর্যায় আবদুল্লাহ প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মূলহোতা মুক্তা পারভিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। মামলার কথা জানতে পেরে চক্রের সদস্যরা আত্মগোপনে যায়। তবে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ীর সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মুক্তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণা করার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তা কখনো ম্যাজিস্ট্রেট আবার কখনো ‘ডিজিএফআইয়ের মেজর’! তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

আপডেট সময় ০২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  কখনো ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ আবার কখনো ‘ডিজিএফআইয়ের মেজর’ এমন ভুয়া পরিচয়ে মুক্তা পারভিন চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিত। একজনের কাছ থেকেই মুক্তা ১ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রোববার রাজবাড়ী জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে রাজশাহীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র প্রতারণা করছে। তারা নিজেদের কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো ডিজিএফআইয়ের মেজরসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সহজ-সরল ও নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। 

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম এলাকার শেখ আবদুল্লাহের (৩৭) কাছ থেকে সরকারি দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। একপর্যায় আবদুল্লাহ প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মূলহোতা মুক্তা পারভিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। মামলার কথা জানতে পেরে চক্রের সদস্যরা আত্মগোপনে যায়। তবে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ীর সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মুক্তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণা করার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।