সিনিয়র রিপোর্টার : বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা এমন দুর্ধর্ষ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচার হবে, শাস্তি হবে, আমরা কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি তিনি এসব কথা বলেন।
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণসহ নিরাপত্তায় থাকা ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তবে একটি সূত্র জানায়, ব্যাংকে টাকা সংরক্ষণ করা লোহার বাক্সের তালা খুলতে পারেনি। মূলত এ কারণে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. নেজাম উদ্দিনকে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর একদিন পর বুধবার (৩ এপ্রিল) থানচিতে সোনালী এবং কৃষি ব্যাংকের শাখায়ও ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বুধবার সকাল ১১টার দিকে থানচি বাজারে দুটি চাঁদের গাড়িতে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যায়। এ সময় থানচি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের ভেতরে ঢোকে দুই ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বন্দি করে সন্ত্রাসীরা। এরপর সোনালী ব্যাংক থেকে নগদ ১৫ লাখ টাকা ও কৃষি ব্যাংকে গ্রাহকের আড়াই লাখ টাকা ও বেশকিছু মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ সন্ত্রাসীদের প্রতিহতে এগিয়ে এলে তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন বলেন, ব্যাংক থেকে কাউন্টারে রাখা মোট ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। তবে ব্যাংকের ভল্ট এখনো অক্ষত আছে।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) মো. দিদারুল আলম বলেন, রুমায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। সোনালী ব্যাংক লুট, ব্যাংক ও ইউএনও অফিসের স্টাফদের মারধর করেছে। ঘটনার পরপরই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তাকর্মীরা টহল কার্যক্রম জোরদার করে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। তবে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লুটের অনুমান করা হলেও, ঠিক কী পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বান্দারবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, দুটি গাড়িতে অস্ত্রধারীরা এসে হামলা চালিয়েছে। তবে এটা ডাকাতির উদ্দেশ্যে হামলা কি না, সেটা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।