নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছি : সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীন
-
ডেস্ক :
-
আপডেট সময়
০৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪
- 123
অনলাইন ডেক্স : অপহরণের প্রায় ৬৫ ঘণ্টা পর পরিবারের সান্নিধ্য পেলেন সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীন। তবে চেহারায় ভয়-আতঙ্কের ছাপ মুছে যায়নি । নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাবের ইন্টেলিজেন্স টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় ড্রোন দিয়ে দুষ্কৃতকারীদের অবস্থান সনাক্তের চেষ্টা করে। পরে তাদের সঙ্গে যেকোনো মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমাদের চেষ্টা ছিল ম্যানেজারকে অক্ষত উদ্ধার করা। এ জন্য যা যা করা প্রয়োজন আমরা করেছি। তারা ম্যানেজারকে রুমার বেথেল পাড়ায় একটি স্থানে রেখে গেলে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
তদন্তের গোপনীয়তার কারণে আমরা সেই স্থানের নাম এখন উল্লেখ করছি না। পরে রাতেই তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রুমা উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক লুট ও ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধারের পর নেজাম উদ্দীনকে বৃহস্পতিবার রাতে বান্দরবান সদর র্যাব কার্যালয়ে রাখা হয়। পরে আজ সকালে গণমাধ্যমের সামনে আনা হয়। সাংবাদিকের দেখে মুখে কিছুটা হাসির ছাপ দেখা গেলেও, এখনো যে ব্যাংক ম্যানেজার নেজামের ভয় পুরোপুরি কাটেনি, তা দেখা গেল চেহারায়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সোনালী ব্যাংকের এমডিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং দেশের সব নাগরিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের সবার কঠোর প্রচেষ্টায় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। আজ আমি অত্যন্ত খুশি এবং আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। কথা বলতে বলতে তিনি নিজের চোখে হাত দেন এবং মাথা নিচু করে ফেলেন। সে সময় পাশে থাকা নেজাম উদ্দীনের স্ত্রী মাইসুরা ইসফাত আবেগে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলেন, ‘যখন তাকে হারিয়েছিলাম, তখন চোখে অন্ধকার ছাড়া কিছু দেখিনি। প্রিয় মানুষকে হারিয়ে আবার ফিরে পাব কি না, সেটা আশা ছিল না। সবার সহযোগিতায় তাকে ফিরে পেয়ে খুশি। সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।’ এ সময় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনসহ র্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগস