ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কিছুই ‘জানেন না’ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • 123

সিনিয়র রিপোর্টার : আবারো লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এই দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চিঠিও আমি এখনো পাইনি, যদি পাঠিয়ে থাকেন অফিসে গিয়ে দেখতে হবে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস‘ অনুষ্ঠানে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে দাবি করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছে, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলে ৫ শতাংশ ডিউটি (ভ্যাট) কমিয়েছিলাম। এতে ভোক্তা পর্যায়ে ১০ টাকা কমেছিল তেলের দাম। সেই ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত। এখন পুরোনা দামে তেল বিক্রি করতে চায় মিল মালিকরা। ফলে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে এমন ধারনা করছে ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া আমাদের ট্যারিফ কমিশন এটা নিয়ে কাজ করছে। শিগগিরই নতুন দর নির্ধারণ করা হবে। দেখা হচ্ছে মিলাররা কী দামে তেলের কাঁচামাল আনছেন, তার দাম কেমন পড়ছে ইত্যাদি বিষয়ে। সয়াবিন তেলের দাম কমবে না। আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ইং তারিখে জারিকৃত এসআরও দ্বয়ের মেয়াদ অদ্য ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে শেষ হচ্ছে। বিধায় আগামী (১৬ এপ্রিল) থেকে বাজারে ভোজ্যতেল (পরিশোধিত পাম তেল এবং পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে। উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে ১৬ এপ্রিল থেকে ভোজ্যতেলের মূল্য নিম্নলিখিতভাবে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদনে ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ কমায় এনবিআর। ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম আগের অবস্থায় নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কিছুই ‘জানেন না’ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : আবারো লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এই দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চিঠিও আমি এখনো পাইনি, যদি পাঠিয়ে থাকেন অফিসে গিয়ে দেখতে হবে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস‘ অনুষ্ঠানে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে দাবি করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছে, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলে ৫ শতাংশ ডিউটি (ভ্যাট) কমিয়েছিলাম। এতে ভোক্তা পর্যায়ে ১০ টাকা কমেছিল তেলের দাম। সেই ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত। এখন পুরোনা দামে তেল বিক্রি করতে চায় মিল মালিকরা। ফলে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে এমন ধারনা করছে ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া আমাদের ট্যারিফ কমিশন এটা নিয়ে কাজ করছে। শিগগিরই নতুন দর নির্ধারণ করা হবে। দেখা হচ্ছে মিলাররা কী দামে তেলের কাঁচামাল আনছেন, তার দাম কেমন পড়ছে ইত্যাদি বিষয়ে। সয়াবিন তেলের দাম কমবে না। আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ইং তারিখে জারিকৃত এসআরও দ্বয়ের মেয়াদ অদ্য ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে শেষ হচ্ছে। বিধায় আগামী (১৬ এপ্রিল) থেকে বাজারে ভোজ্যতেল (পরিশোধিত পাম তেল এবং পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে। উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে ১৬ এপ্রিল থেকে ভোজ্যতেলের মূল্য নিম্নলিখিতভাবে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদনে ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ কমায় এনবিআর। ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম আগের অবস্থায় নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা।