ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস : দিবসটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • 140

অনলাইন ডেস্ক :  আগামীকাল ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। দিবসটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর (তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা) আম্রকাননে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার ঘোষণা ও শপথ গ্রহণ করা হয়। প্রতিবছর দিবসটি কেন্দ্রীয়ভাবে মুজিবনগরে পালিত হয়ে আসছে। এবারও ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি মুজিবনগরসহ সারাদেশে পালিত হবে। এর মাধ্যমে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর হাজার হাজার মা-বোনের ইজ্জত এবং কোটি জনতার আত্মত্যাগের সুমহান ঐতিহ্য সৃষ্টি করে ৯ মাস বীরত্বপূর্ণ সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে রচিত হয়েছিলো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। মুজিবনগর আম্রকাননের যে স্থানটিতে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা ও শপথ গ্রহণ হয় সেই স্থানে ১৯৮৭ সালে গড়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ। যা বর্তমানে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ নামে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত।

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার স্বাধীনতা সূর্য অস্ত যায়। এর প্রায় ২১৪ বছর পর ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল আবার সেই তৎকালীন প্রাচীন ভারতের নদীয়া জেলার আর এক অংশে বর্তমানে মেহেরপুরের মুজিবনগর আম্রকাননে স্বগর্বে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সূর্য। এর পর ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ লাভ করেন। এরপর সাক্ষী হিসেবে স্বাধীন বাংলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধরে রাখতে গড়ে তোলা হয় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ।

১৯৭৪ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর স্মৃতি মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তদানীন্তন শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম। একই দিনে বঙ্গবন্ধু তোরণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনছুর আলী। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে এরশাদ সরকার ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ এবং রেস্ট হাউজ নির্মাণ করেন। দেরিতে হলেও স্মৃতিসৌধের উত্তর-পশ্চিম পাশে একটি দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে কোন কোন স্মৃতি নিয়ে স্মৃতিসৌধের ইতিহাস- তা তুলে ধরা হয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস : দিবসটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন

আপডেট সময় ০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক :  আগামীকাল ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। দিবসটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর (তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা) আম্রকাননে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার ঘোষণা ও শপথ গ্রহণ করা হয়। প্রতিবছর দিবসটি কেন্দ্রীয়ভাবে মুজিবনগরে পালিত হয়ে আসছে। এবারও ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি মুজিবনগরসহ সারাদেশে পালিত হবে। এর মাধ্যমে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর হাজার হাজার মা-বোনের ইজ্জত এবং কোটি জনতার আত্মত্যাগের সুমহান ঐতিহ্য সৃষ্টি করে ৯ মাস বীরত্বপূর্ণ সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে রচিত হয়েছিলো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। মুজিবনগর আম্রকাননের যে স্থানটিতে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা ও শপথ গ্রহণ হয় সেই স্থানে ১৯৮৭ সালে গড়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ। যা বর্তমানে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ নামে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত।

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার স্বাধীনতা সূর্য অস্ত যায়। এর প্রায় ২১৪ বছর পর ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল আবার সেই তৎকালীন প্রাচীন ভারতের নদীয়া জেলার আর এক অংশে বর্তমানে মেহেরপুরের মুজিবনগর আম্রকাননে স্বগর্বে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সূর্য। এর পর ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ লাভ করেন। এরপর সাক্ষী হিসেবে স্বাধীন বাংলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধরে রাখতে গড়ে তোলা হয় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ।

১৯৭৪ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর স্মৃতি মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তদানীন্তন শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম। একই দিনে বঙ্গবন্ধু তোরণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনছুর আলী। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে এরশাদ সরকার ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ এবং রেস্ট হাউজ নির্মাণ করেন। দেরিতে হলেও স্মৃতিসৌধের উত্তর-পশ্চিম পাশে একটি দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে কোন কোন স্মৃতি নিয়ে স্মৃতিসৌধের ইতিহাস- তা তুলে ধরা হয়েছে।