সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিল দেশের জনগণকে ডালভাত খাওয়াবে। কিন্তু সেই ডালভাত খাওয়াতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপির সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্যমন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল- আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব। মাছে ভাতে বাঙালি আমরা। মাছ ও ভাত পেলেই আমাদের যথেষ্ট। সেটাই তো আমরা চাই। এখন অন্তত বলতে পারি মাছ-ভাতের অভাব নেই। ডাল-ভাতেরও অভাব নেই। মানুষের চাহিদা এখন মাংস, আরও বড় বড় মাছ খাবে। এখন প্রায় ৪০ ভাগ আমরা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারি।আমার কারও কাছে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো না। নিজেরাই নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করবো।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফখরুদ্দিন সাহেব প্রধান উপদেষ্টা, ইয়াজউদ্দিন সাহেব রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান মইন উদ্দিন- তারা ঘোষণা দিলেন আলু খাওয়ার জন্য। আলু দিয়ে নানা রকমের খাদ্য তৈরি করা হলো, তা প্রদর্শন করা হলো বেশ উন্নত হোটেলে। মানুষ ভাত পাচ্ছে না কী হয়েছে, আলু খাবে! কেউ আমাদের ডালভাত খাওয়াতে চাইলো, কেউ আমাদের আলু খাওয়াতে চাইলো।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি-এটিই দুর্ভাগ্য।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন- আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না। কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মানসম্মান নিয়েই বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।