ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাপদাহ থেকে সুরক্ষাবিষয়ক জাতীয় নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সরকার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • 111

অনলাইন ডেস্ক :  তাপদাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সরকার। আজ রোববার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে।

ইউনিসেফের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এটি প্রকাশ করে। এতে ১৭টি অধ্যায়ের মাধ্যমে গরম থেকে কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে, কেউ গরমজনিত অসুস্থতার শিকার হলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কী করতে হবে, সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলে স্বাস্থ্যকর্মীরা কী ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নেবেন, সেটাও তুলে ধরা হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই গরমের মধ্যে রোগী ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালগুলো ফাঁকা রাখতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তাই গরমে কী করা যাবে, তা নিয়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপপ্রতিনিধি এম্মা ব্রিগহাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সাড়ে ৩ কোটির বেশি শিশু তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হবে। ২০২০ সালে ২৬ লাখ শিশু এই ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে গাইডলাইনটির বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে শরীর অনেক সময় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দেয়। দিনের যে সময়ে তাপমাত্রা বেশি থাকে, সে সময়ে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।  

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

তাপদাহ থেকে সুরক্ষাবিষয়ক জাতীয় নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সরকার

আপডেট সময় ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক :  তাপদাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সরকার। আজ রোববার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে।

ইউনিসেফের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এটি প্রকাশ করে। এতে ১৭টি অধ্যায়ের মাধ্যমে গরম থেকে কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে, কেউ গরমজনিত অসুস্থতার শিকার হলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কী করতে হবে, সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলে স্বাস্থ্যকর্মীরা কী ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নেবেন, সেটাও তুলে ধরা হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই গরমের মধ্যে রোগী ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালগুলো ফাঁকা রাখতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তাই গরমে কী করা যাবে, তা নিয়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপপ্রতিনিধি এম্মা ব্রিগহাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সাড়ে ৩ কোটির বেশি শিশু তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হবে। ২০২০ সালে ২৬ লাখ শিশু এই ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে গাইডলাইনটির বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে শরীর অনেক সময় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দেয়। দিনের যে সময়ে তাপমাত্রা বেশি থাকে, সে সময়ে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।