ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপজেলা নির্বাচন : শ্রীপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
  • 114

সিনিয়র রিপোর্টার : নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. জামিল হাসান দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে শুনানি করে দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনা কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনাররা।

শুনানি থেকে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদকর্মীদের সঙ্গে দুর্জয় কোনো কথা বলেননি। পরে ইসির সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ম্যাজিস্টেটের কাজে বাধা দিয়েছেন। মিছিল করেছেন।সকল অভিযোগ কমিশন আমলে নিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।’

এর আগে, কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়ার পরও বারবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে থাকায় ‘কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না’– সেই প্রশ্নে তার ব্যাখ্যা চেয়েছিল ইসি। ব্যাখ্যা দিতে তাকে ডাকা হয়েছিল কমিশনে।

জামিল হাসান প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রহমত আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। উপজেলা নির্বাচনের চার দফার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় আগামী ২১ মে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ভোট। জামিল হাসান নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।

এদিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছিল ইসি। তবে আদালতে গিয়ে তিনি প্রার্থিতা ফেরত পান।

উপজেলা নির্বাচনের আগে ভোট প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদেরও প্রার্থী হতে নিষেধ করেছিলেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেখা গিয়েছিল দলের প্রভাবশালী নেতারা, বিশেষ করে স্থানীয় এমপি, মন্ত্রীরা তাদের স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় আত্মীয়-স্বজন পরিবারের সদস্যদের প্রার্থী করছেন।

এরপর প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগের দিন গত ৭ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটে প্রভাব বিস্তার রোধে ‘সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রী-এমপিদের নিবৃত্ত করা হয়েছে, প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না সে বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।

এছাড়া মাঠ পর্যায়ের নানা ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ‘ব্যবস্থা নেওয়ারও’ আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা নির্বাচন : শ্রীপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল

আপডেট সময় ০৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. জামিল হাসান দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে শুনানি করে দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনা কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনাররা।

শুনানি থেকে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদকর্মীদের সঙ্গে দুর্জয় কোনো কথা বলেননি। পরে ইসির সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ম্যাজিস্টেটের কাজে বাধা দিয়েছেন। মিছিল করেছেন।সকল অভিযোগ কমিশন আমলে নিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।’

এর আগে, কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়ার পরও বারবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে থাকায় ‘কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না’– সেই প্রশ্নে তার ব্যাখ্যা চেয়েছিল ইসি। ব্যাখ্যা দিতে তাকে ডাকা হয়েছিল কমিশনে।

জামিল হাসান প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রহমত আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। উপজেলা নির্বাচনের চার দফার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় আগামী ২১ মে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ভোট। জামিল হাসান নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।

এদিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছিল ইসি। তবে আদালতে গিয়ে তিনি প্রার্থিতা ফেরত পান।

উপজেলা নির্বাচনের আগে ভোট প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদেরও প্রার্থী হতে নিষেধ করেছিলেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেখা গিয়েছিল দলের প্রভাবশালী নেতারা, বিশেষ করে স্থানীয় এমপি, মন্ত্রীরা তাদের স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় আত্মীয়-স্বজন পরিবারের সদস্যদের প্রার্থী করছেন।

এরপর প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগের দিন গত ৭ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটে প্রভাব বিস্তার রোধে ‘সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রী-এমপিদের নিবৃত্ত করা হয়েছে, প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না সে বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।

এছাড়া মাঠ পর্যায়ের নানা ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ‘ব্যবস্থা নেওয়ারও’ আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।