সিনিয়র রিপোর্টার : সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে । শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশের মানুষ ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে। এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ভাগ্য আর পকেটের উন্নয়ন করেছে। শেখ হাসিনার সততা সারা বিশ্বে আজ প্রশংসনীয়।
বৃহষ্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানার শিশুদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার ( ১৭ মে) বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ৪৩ বছরের সবচেয়ে সাহসী নেতা ও সৎ রাজনীতিকের নাম বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। গত ১৫ বছরে উন্নয়ন অর্জন ও আধুনিকতায় বাংলাদেশ বদলে গেছে। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশ কোন মিল নেই। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার প্রবর্তন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃংখল মুক্ত হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু হয়েছে। পাহাড়-সমতল সর্বত্রই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। যারা এসব অস্বীকার করে তারা দিনের আলোতে অন্ধকার দেখে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আগের অবস্থানে আছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল কি করে জানলেন যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থানে রয়েছে? মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব জনগণকে বিভান্ত করার চেষ্টা করছেন। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন ডোনাল্ড লু। তার বক্তব্যের মাধ্যমেই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বুঝতে পারা যায়। সেখানে ফখরুলের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই। সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশ উন্নয়নের জনপদে রুপান্তরিত হয়েছে। সে কারণেই বিএনপি হিংসায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ কমিটির সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।