দেশে ফিরে এমপি আনার হত্যার তদন্ত নিয়ে যা বললেন ডিবি প্রধান
-
ডেস্ক :
-
আপডেট সময়
০৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
- 142
অনলাইন ডেস্ক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যা মামলা তদন্ত করতে ভারত গিয়েছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে তারা কলকাতা থেকে ফিরে এসেছেন। ফেরার আগে দেশটির বিমানবন্দরে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা যেসব উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতায় এসেছিলাম, তার শতভাগ সফলতা নিয়ে আমরা বাংলাদেশে ফিরছি।
ডিবি প্রধান বলেন, কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে ইতোমধ্যে এক নারীসহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এক্ষেত্রে ওয়াটার থিওরি ব্যবহার করেছি। আমরা সিআইডি পুলিশকে রিকোয়েস্ট করেছি। আসামিদের ব্যবহৃত কমোড, সেপটিক ট্যাংক চেক করতে বলেছি। সেখান থেকেই মরদেহের অনেক অংশ উদ্ধার হয়েছে। যে উদ্দেশে এসেছিলাম আমরা কিন্তু একশ ভাগ সফলতা নিয়েই বাংলাদেশে ফিরছি। হারুন বলেন, প্রাথমিকভাবে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংস এমপি আনারের মনে করা হলেও এ ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হতে ফরেনসিক এবং ডিএনএ টেস্ট জরুরি। আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইডিকে চিঠি দিয়ে এসব মাংসের টুকরো বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উদ্ধার করা মাংস এমপি আনারের মরদেহের কি না তা পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (সিএফএসএল) নমুনা পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টও করা হবে। সেক্ষেত্রে এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফিরদৌস ডরিনকে কলকাতায় ডাকা হতে পারে। ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা সিআইডিকে অনুরোধ জানিয়েছি এই পরীক্ষাগুলো যেন দ্রুততার সঙ্গে করা হয়। ডিএনএ টেস্ট করার জন্য এমপি আনারের কন্যা ডরিন শিগগির কলকাতা আসবেন। ভারতে আসার জন্য সম্ভবত তিনি ভিসাও পেয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসে গোয়েন্দা প্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। কলকাতা থেকে তারা যান নিউটাউন থানায়। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) সঙ্গে নিয়ে তারা কৃষ্ণমাটি বাগজোলা খাল পরিদর্শন করেন। এরপর যথাক্রমে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস, সিআইডি ভবন, হাতিশাল খালসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করার পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, সিআইডি এডিজি আর রাজাশেখরণের সঙ্গেও কথা বলেন ডিবিপ্রধান হারুন।
তিনি বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে কলকাতা এবং বাংলাদেশে দুটি জায়গায় মামলা হয়েছে। সে কারণেই তদন্ত করতে আমরা কলকাতায় এসেছি এবং সিআইডির প্রতিনিধি দলও তদন্তের স্বার্থে বাংলাদেশে গেছে। আমরা ইতোমধ্যে মূল ঘাতককে গ্রেফতার করেছি। তারা অনেক কিছুই স্বীকার করেছে। কীভাবে তারা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল, বাংলাদেশের কোথায় কোথায় তারা বৈঠক করেছে, কলকাতায় এসে কোন কোন বাসায় ছিল, তারা কি কি কাজ করেছিল, এগুলো যাচাই-বাছাই করার দরকার ছিল। আমরা মনে করি, আমরা সহযোগিতা করতে পেরেছি এবং যে উদ্দেশ্যে এসেছিলাম যে একদিকে আলামত সংগ্রহ করা, সিআইডিকে সহযোগিতা করা, ডিজিটাল এভিডেন্স নিজে চোখে দেখা, কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া জিহাদ হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলে আমাদের দেশে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বয়ান মিলিয়ে নেওয়া, কোথায় কোথায় গেছে সেগুলোর খোঁজ-খবর নেওয়া এসব ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।
ট্যাগস