সিনিয়র রিপোর্টার : মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ‘ওয়াশিংটনের কাছে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অগ্রাধিকার রয়েছে। ‘কেবলমাত্র এশিয়ায় নিরাপত্তা থাকলেই’ যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ হতে পারে। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডং জুনের সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন পর সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা সম্মেলনে লয়েড এ কথা বলেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্কে ব্যারোমিটার হিসেবে কাজ করা সাংগ্রি-লা সংলাপে অস্টিন আরো বলেছেন, এশিয়ায় নিরাপত্তা থাকলেই যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ হতে পারে। তাই যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে তার উপস্থিতি বজায় রাখছে। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ঐতিহাসিক সংঘাত সত্ত্বেও এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আমাদের কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের সাথে জোট ও অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করতে ইচ্ছুক। কারণ, ম্যানিলা চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি ও প্রভাব মোকাবেলা করতে চায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত স্বশাসিত তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে’র শপথ গ্রহণের পর চীন এর আশেপাশে সামরিক মহড়া চালানোর এক সপ্তাহ পর চলতি বছরের সাংগ্রি-লায় সংলাপটি অনুষ্ঠিত হলো। বাস্তবিক পক্ষে অস্টিন শুক্রবার (৩১ মে) ডংয়ের সাথে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক করেন। এটি ছিল গত ১৮ মাসের মধ্যে দুই প্রতিরক্ষা প্রধানের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। এ সময় উভয়ে আবারো সামরিক সংলাপের আশা ব্যক্ত করেন।
অস্টিন বলেন, আগামী মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সামরিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করবে। এদিকে বেইজিং দু’দেশের মধ্যকার স্থিতিশীল নিরাপত্তা সম্পর্কের প্রশংসা করেছে। কিন্তু অস্টিন তার শনিবারের (১ জুন) বক্তব্যে চীনকে খোঁচা মেরে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তার নতুন যুগের কথা তুলে ধরে বলেছেন, এটি কোন একটি দেশের ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়া নয় কিংবা গুন্ডামি অথবা জবরদস্তিও নয়। এটি একসাথে মিলিত হওয়ার সম্মিলন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীন পছন্দের বিষয়।
উল্লেখ্য- যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে। তাই চুক্তির মিত্র ফিলিপাইন এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার মূল কেন্দ্র। কারণ, চীনকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের যে কোন সংঘাতে ফিলিপাইনের সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।