ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে : খুলনায় ২৫টি গ্রাম প্লাবিত এবং ৭৭ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • 151

অনলাইন ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্রচণ্ড ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কয়েকটি উপজেলায় বাঁধ ভেঙে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে সহস্রাধিক মৎস্য ঘের। ভেঙে গেছে ৭৭ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলোতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

রিমালের প্রভাবে খুলনায় চার লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে এসে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ রয়েছে আগের মতোই। জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ড সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু উপজেলাগুলোতেই নয়, খুলনা মহানগরীতে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চার লাখ ৫২ হাজার ২০০ মানুষ। ঘূর্ণিঝড় চলাকালে বটিয়াঘাটা উপজেলায় গাছচাপা পড়ে লালচাঁদ মোড়ল নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গাওঘরা গ্রামের গহর মোড়লের ছেলে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, সকালে তিনি একটি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় গাছ ভেঙে পড়ে। গাছের নিচে চাপা পড়ে লালচাঁদ মোড়ল নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ঝড়ে আর কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে : খুলনায় ২৫টি গ্রাম প্লাবিত এবং ৭৭ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে

আপডেট সময় ০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্রচণ্ড ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কয়েকটি উপজেলায় বাঁধ ভেঙে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে সহস্রাধিক মৎস্য ঘের। ভেঙে গেছে ৭৭ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলোতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

রিমালের প্রভাবে খুলনায় চার লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে এসে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ রয়েছে আগের মতোই। জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ড সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু উপজেলাগুলোতেই নয়, খুলনা মহানগরীতে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চার লাখ ৫২ হাজার ২০০ মানুষ। ঘূর্ণিঝড় চলাকালে বটিয়াঘাটা উপজেলায় গাছচাপা পড়ে লালচাঁদ মোড়ল নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গাওঘরা গ্রামের গহর মোড়লের ছেলে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, সকালে তিনি একটি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় গাছ ভেঙে পড়ে। গাছের নিচে চাপা পড়ে লালচাঁদ মোড়ল নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ঝড়ে আর কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।