ঢাকা , শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই : আলী আরাফাত

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • 177

সিনিয়র রিপোর্টার : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। সরকারের যদি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা থাকত, তাহলে তারা সংবাদমাধ্যমের সংখ্যা বাড়তে দিত না, কারণ অধিক সংখ্যায় সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন। দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি সংবাদপত্রের স্বাধীনতারই প্রতিফলন।

নগরীর গুলশান ক্লাবে শনিবার (১ মে) নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত এর সদস্য সংবাদপত্রের প্রকাশনার ৫০ বছর ও ২৫ বছর পূর্তিতে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নোয়াব সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, গত ১৫ বছরে দেশ গণমাধ্যমের ব্যাপক বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে। আমরা সমালোচনা গ্রহণের জন্য একেবারে প্রস্তুত এবং আপনার মতামত শুনতে ইচ্ছুক। আমরা বিশ্বাস করি না যে আমাদের কোনো ব্যর্থতা বা ভুল নেই। সংবাদমাধ্যম সরকারের ভুলগুলোকে সংশোধনের জন্য চিহ্নিত করে সরকারকে সাহায্য করতে পারে। তিনি গণমাধ্যমকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, যথাযথ তথ্য উপাত্ত দিয়ে সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানান।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না তারা কীভাবে এটি তৈরি করেছে। আমি র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্যে ইনপুট হিসাবে নেওয়া তথ্যগুলো দেখেছি। রিপোর্টে আমি অনেক ভুল তথ্য পেয়েছি।

২০২৩ সালের রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতিগত দুর্বলতা এবং ভুল তথ্য চিহ্নিত করে আরএসএফকে একটি চিঠি পাঠানোর কথা উল্লেখ করে আরাফাত বলেন, আরএসএফ সেসব স্বীকার ও সংশোধন করেছে। আমরা জানতে পেরেছি যে (আরএসএফ রিপোর্টে) স্বচ্ছতার অনেক অভাব রয়েছে। যেমন আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ সম্পর্কে মুষ্টিমেয় কিছু লোককে জিজ্ঞাসা করেন যা মূলত সেই বিশেষ ব্যক্তিদেরই মতামত হবে। এটি পুরো দেশের চিত্র হতে পারে না। তাই সমগ্র দেশের বাস্তব চিত্র পাওয়ার জন্য গবেষণায় একটি সুপ্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি রয়েছে যা অনুসরণ করা প্রয়োজন।

কিন্তু এই বিশেষ গবেষণায় তা অনুসরণ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা কি সম্ভব যে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ আফগানিস্তানের চেয়ে খারাপ? এটি তখনই সম্ভব যখন আপনার পদ্ধতিতে কিছু ভুল রয়ে যাবে। তাই, আমি সবকিছুকে অভিহিত মূল্যের ভিত্তিতে না নেয়ার অনুরোধ করছি। তাছাড়া দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সংবাদের ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালিক প্রমুখ। পরে নোয়াব প্রকাশনার ৫০ বছর পূর্ণ করার জন্য দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক আজাদী এবং দৈনিক পূর্বাঞ্চল এবং ২৫ বছর পূর্ণ করার জন্য প্রথম আলো এবং মানবজমিনকে সম্মাননা প্রদান করেছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতারক চক্রের খপ্পরে দুই অনলাইন শাড়ী ব্যবসায়ী : শাড়ী উদ্ধারসহ প্রতারক চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই : আলী আরাফাত

আপডেট সময় ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। সরকারের যদি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা থাকত, তাহলে তারা সংবাদমাধ্যমের সংখ্যা বাড়তে দিত না, কারণ অধিক সংখ্যায় সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন। দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি সংবাদপত্রের স্বাধীনতারই প্রতিফলন।

নগরীর গুলশান ক্লাবে শনিবার (১ মে) নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত এর সদস্য সংবাদপত্রের প্রকাশনার ৫০ বছর ও ২৫ বছর পূর্তিতে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নোয়াব সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, গত ১৫ বছরে দেশ গণমাধ্যমের ব্যাপক বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে। আমরা সমালোচনা গ্রহণের জন্য একেবারে প্রস্তুত এবং আপনার মতামত শুনতে ইচ্ছুক। আমরা বিশ্বাস করি না যে আমাদের কোনো ব্যর্থতা বা ভুল নেই। সংবাদমাধ্যম সরকারের ভুলগুলোকে সংশোধনের জন্য চিহ্নিত করে সরকারকে সাহায্য করতে পারে। তিনি গণমাধ্যমকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, যথাযথ তথ্য উপাত্ত দিয়ে সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানান।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না তারা কীভাবে এটি তৈরি করেছে। আমি র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্যে ইনপুট হিসাবে নেওয়া তথ্যগুলো দেখেছি। রিপোর্টে আমি অনেক ভুল তথ্য পেয়েছি।

২০২৩ সালের রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতিগত দুর্বলতা এবং ভুল তথ্য চিহ্নিত করে আরএসএফকে একটি চিঠি পাঠানোর কথা উল্লেখ করে আরাফাত বলেন, আরএসএফ সেসব স্বীকার ও সংশোধন করেছে। আমরা জানতে পেরেছি যে (আরএসএফ রিপোর্টে) স্বচ্ছতার অনেক অভাব রয়েছে। যেমন আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ সম্পর্কে মুষ্টিমেয় কিছু লোককে জিজ্ঞাসা করেন যা মূলত সেই বিশেষ ব্যক্তিদেরই মতামত হবে। এটি পুরো দেশের চিত্র হতে পারে না। তাই সমগ্র দেশের বাস্তব চিত্র পাওয়ার জন্য গবেষণায় একটি সুপ্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি রয়েছে যা অনুসরণ করা প্রয়োজন।

কিন্তু এই বিশেষ গবেষণায় তা অনুসরণ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা কি সম্ভব যে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ আফগানিস্তানের চেয়ে খারাপ? এটি তখনই সম্ভব যখন আপনার পদ্ধতিতে কিছু ভুল রয়ে যাবে। তাই, আমি সবকিছুকে অভিহিত মূল্যের ভিত্তিতে না নেয়ার অনুরোধ করছি। তাছাড়া দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সংবাদের ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালিক প্রমুখ। পরে নোয়াব প্রকাশনার ৫০ বছর পূর্ণ করার জন্য দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক আজাদী এবং দৈনিক পূর্বাঞ্চল এবং ২৫ বছর পূর্ণ করার জন্য প্রথম আলো এবং মানবজমিনকে সম্মাননা প্রদান করেছে।