ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ : আহত অর্ধশত 

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
  • 40
অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিলের আগে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৭ জুন) বিকালে উপজেলার বন্দর কমিউনিটি সেন্টারে দু’পক্ষের অবস্থান কর্মসূচিতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এম এ হান্নান মঞ্জু চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বরুমচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী সহ-সভাপতি তাজউদ্দীন, যুবলীগ নেতা সাইফুল। 
জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সমর্থকরা ও অর্থ-প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের সমর্থকরা বন্দর কমিউনিটি সেন্টারে সমাবেশের আয়োজন করে। বিকাল ৪টায় সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর থেকে এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা যায়। 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকাল ৪টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার পর উভয়পক্ষ উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় পুলিশ উভয় গ্রুপের মাঝে ব্যারিকেট দেয়। কিছুক্ষণ পর ওয়াসিকা গ্রুপের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তার দক্ষিণ পাশে অবস্থান করা জাবেদ গ্রুপের সমর্থকদের ওপর হামলা করে। ঘটনার বিষয়ে জাবেদ গ্রুপের অনুসারী আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, মান্নান চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন, সাইফুল গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়াও তাদের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে। 
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ওয়াসিকা গ্রুপর অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, ‌‘আমরা বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে প্রোগ্রাম দিয়েছি, একই স্থানে তারাও প্রোগ্রামের ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এসময় আমাদের টিপুসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’
আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ জানান, সকাল থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরবর্তী সময়ে তারা পুলিশের ব্যারিকেট উপেক্ষা করে সংঘর্ষে জড়ায়। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।   
ট্যাগস

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ : আহত অর্ধশত 

আপডেট সময় ০৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিলের আগে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৭ জুন) বিকালে উপজেলার বন্দর কমিউনিটি সেন্টারে দু’পক্ষের অবস্থান কর্মসূচিতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এম এ হান্নান মঞ্জু চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বরুমচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী সহ-সভাপতি তাজউদ্দীন, যুবলীগ নেতা সাইফুল। 
জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সমর্থকরা ও অর্থ-প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের সমর্থকরা বন্দর কমিউনিটি সেন্টারে সমাবেশের আয়োজন করে। বিকাল ৪টায় সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর থেকে এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা যায়। 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকাল ৪টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার পর উভয়পক্ষ উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় পুলিশ উভয় গ্রুপের মাঝে ব্যারিকেট দেয়। কিছুক্ষণ পর ওয়াসিকা গ্রুপের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তার দক্ষিণ পাশে অবস্থান করা জাবেদ গ্রুপের সমর্থকদের ওপর হামলা করে। ঘটনার বিষয়ে জাবেদ গ্রুপের অনুসারী আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, মান্নান চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন, সাইফুল গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়াও তাদের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে। 
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ওয়াসিকা গ্রুপর অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, ‌‘আমরা বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে প্রোগ্রাম দিয়েছি, একই স্থানে তারাও প্রোগ্রামের ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এসময় আমাদের টিপুসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’
আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ জানান, সকাল থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরবর্তী সময়ে তারা পুলিশের ব্যারিকেট উপেক্ষা করে সংঘর্ষে জড়ায়। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।