নিউজ ডেস্ক
আজ সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতিমধ্যে দিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে আছেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণাএশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
রবিবার (৯ জুন) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে খাবার সামনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন পুতুল। ক্যাপশনে লিখেছেন, নরেন্দ্র মোদির শপথের আগে মায়ের সঙ্গে ‘কুইক বাইট’। ইতিমধ্যে ওই পোস্টে প্রায় সাড়ে তিন হাজার এনগেজমেন্ট দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা হবে ৮ হাজার।
হিন্দুস্তান টাইমস ও ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতকর্তা। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রোববার সন্ধ্যা ৭.১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন।
মোদির শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানস্থল রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঁচ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান ছাড়াও এনএসজি কমান্ডো, ড্রোন এবং স্নাইপার নিয়ে বহুস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলার সময় যেকোনো অপরাধমূলক বা সন্ত্রাসী হুমকি রোধ করতে দিল্লিতে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিধিনিষেধ ৯ ও ১০ জুন কার্যকর থাকবে।
বিদেশি অতিথিদের হোটেলে বিশেষ প্রোটোকলসহ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তার আওতায় রয়েছে লীলা, তাজ, আইটিসি মৌর্য, ক্ল্যারিজেস এবং ওবেরয়ের মতো নামি হোটেলগুলো। অতিথিরা হোটেল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন নির্দিষ্ট পথে। এ সময় বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ এবং ডাইভারশন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া সীমান্তেও শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে আসবেন এমন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে রয়েছেন- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, সিসিলিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জুগনাথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার ডাহাল, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
প্রসঙ্গত- টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। আর এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি।