ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী  বলেছেন : আমার কাছে কোয়ান্টিটি নয় বরং কোয়ালিটি চিকিৎসা সেবাই মুখ্য

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
  • 136

অনলাইন ডেস্করাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে কোয়ান্টিটি নয় বরং কোয়ালিটি চিকিৎসা সেবাই মুখ্য। এক্ষেত্রে আমাদের কোয়ান্টিটি না বাড়িয়ে কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে। অ্যান্ডোসকপি, আলট্রাসনোগ্রাফিসহ এসব পরীক্ষা একসঙ্গে ৭০টা না করে, সংখ্যায় কম হলেও যেন মানসম্মতভাবে তা করে।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডি ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ঠিক করেছি সারাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিজে সরজমিনে দেখব। সেটার অংশ হিসেবে ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালে এসেছি। আজ সকালেও আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ পরিদর্শন করেছি। গতকালও আমি তিনটা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। ল্যাবএইডে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। এক্ষেত্রে আমার যেটা পর্যবেক্ষণ সেটা হচ্ছে উনাদেরকে আরও যত্নশীল হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন হাসপাতালে পরিদর্শন করছি এবং প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলছি। গতকাল আমি এভারকেয়ার হাসপাতালে বলেছি, প্রতিটি বড় হাসপাতালে যেন গরীব রোগীদের একটা পার্সেন্টেজ থাকে। যাতে গরীব রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা নেওয়াটা সম্ভব হয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘চিকিৎসায় কোনও নেগ্লেজেন্সি (অবহেলা) আমি মেনে নেব না। মানুষের জীবন কিন্তু একটাই। চলে গেলে আর আসে না।’

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ল্যাবএইড হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মেডিকেল চেক আপ রুম, এন্ডোসকপি ও কলোনস্কপি বিভাগ, সিসিইউ বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ সরজমিনে পরিদর্শন করেন। তাছাড়া রেডিওলজিস্টসহ মেডিকেল কনসালটেন্টদের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। হাসপাতালে আসা রোগীদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। এরপর মন্ত্রী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে রোগী এবং ডাক্তারদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন এবং ডকুমেন্টেশন পদ্ধতি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না দেখতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করেন।

বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডকুমেন্টেশন ব্যবস্থা ভালো হতে হবে। ঠিকমতো রোগীর ডকুমেন্টেশন নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটার সমাধান করা সহজ হয়। এখানকার ডকুমেন্টেশন ব্যবস্থা আমার কাছে ভালো মনে হয়নি। উনাদের প্রতি আমার মেসেজ রোগীর প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে, বিলটাও যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটাই কথা কোয়ালিটি চিকিৎসা চাই। কোয়ান্টিটি না।’

এদিন সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ পরিদর্শন করেন ডা. সামন্ত লাল সেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন এবং চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানসহ অনেকে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী  বলেছেন : আমার কাছে কোয়ান্টিটি নয় বরং কোয়ালিটি চিকিৎসা সেবাই মুখ্য

আপডেট সময় ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

অনলাইন ডেস্করাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে কোয়ান্টিটি নয় বরং কোয়ালিটি চিকিৎসা সেবাই মুখ্য। এক্ষেত্রে আমাদের কোয়ান্টিটি না বাড়িয়ে কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে। অ্যান্ডোসকপি, আলট্রাসনোগ্রাফিসহ এসব পরীক্ষা একসঙ্গে ৭০টা না করে, সংখ্যায় কম হলেও যেন মানসম্মতভাবে তা করে।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডি ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ঠিক করেছি সারাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিজে সরজমিনে দেখব। সেটার অংশ হিসেবে ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালে এসেছি। আজ সকালেও আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ পরিদর্শন করেছি। গতকালও আমি তিনটা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। ল্যাবএইডে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। এক্ষেত্রে আমার যেটা পর্যবেক্ষণ সেটা হচ্ছে উনাদেরকে আরও যত্নশীল হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন হাসপাতালে পরিদর্শন করছি এবং প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলছি। গতকাল আমি এভারকেয়ার হাসপাতালে বলেছি, প্রতিটি বড় হাসপাতালে যেন গরীব রোগীদের একটা পার্সেন্টেজ থাকে। যাতে গরীব রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা নেওয়াটা সম্ভব হয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘চিকিৎসায় কোনও নেগ্লেজেন্সি (অবহেলা) আমি মেনে নেব না। মানুষের জীবন কিন্তু একটাই। চলে গেলে আর আসে না।’

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ল্যাবএইড হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মেডিকেল চেক আপ রুম, এন্ডোসকপি ও কলোনস্কপি বিভাগ, সিসিইউ বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ সরজমিনে পরিদর্শন করেন। তাছাড়া রেডিওলজিস্টসহ মেডিকেল কনসালটেন্টদের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। হাসপাতালে আসা রোগীদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। এরপর মন্ত্রী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে রোগী এবং ডাক্তারদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন এবং ডকুমেন্টেশন পদ্ধতি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না দেখতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করেন।

বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডকুমেন্টেশন ব্যবস্থা ভালো হতে হবে। ঠিকমতো রোগীর ডকুমেন্টেশন নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটার সমাধান করা সহজ হয়। এখানকার ডকুমেন্টেশন ব্যবস্থা আমার কাছে ভালো মনে হয়নি। উনাদের প্রতি আমার মেসেজ রোগীর প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে, বিলটাও যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটাই কথা কোয়ালিটি চিকিৎসা চাই। কোয়ান্টিটি না।’

এদিন সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ পরিদর্শন করেন ডা. সামন্ত লাল সেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন এবং চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানসহ অনেকে।