ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিস্তল উঁচিয়ে প্রতিবেশীকে হুমকি : জাকিরের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন ভুক্তভোগী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • 48
অনলাইন ডেস্ক : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি দখল নিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী।  সোমবার (২৪ জুন) অভিযোগটি (জিডি) নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানান থানার ওসি আবদুল্লা হিল জামান। ভুক্তভোগীর নাম আনোয়ার হোসেন (৫৪)। তিনি উপজেলার রৌমারী গ্রামের বাসিন্দা এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রীর প্রতিবেশী। 
অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভুক্তভোগী (আনোয়ার হোসেন) পৈতৃক জমির ৪৫ শতক দখল করে নেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাকির হোসেন লোকজন দিয়ে দখলকৃত জমির পাশে থাকা ভুক্তভোগীর বাকি জমিতে মাটি ভরাট করে দখল করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি ভরাটে বাধা দিলে জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী, তার স্ত্রী সুরাইয়া সুলতানা ও ছেলে সাফোয়াত আদি জাকির ভুক্তভোগীকে শাসান ও মারধর করতে উদ্যত হন। একপর্যায়ে জাকির হোসেন পিস্তল উঁচিয়ে আনোয়ার হোসেনকে গুলি করার হুমকি প্রদান করেন। বিবাদীরা (জাকির হোসেন, তার স্ত্রী ও ছেলে) ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের লোকজনকে রাস্তাঘাটে একা পেলে মারধরের হুমকি দেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। 
পিস্তল উঁচিয়ে হুমকির অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, আমি দোতলায় ছিলাম। মেয়ে আমাকে নামতে দেয়নি। পিস্তল দেখাবে কী করে? তবে হ্যাঁ, আমার লাইসেন্স করা পিস্তল আছে। তবে সেটা দেখানোর জন্য না। তদন্ত করলে সত্য জানতে পারবেন। 
অপরদিকে আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি (জাকির হোসেন) ভুয়া দলিল বানিয়ে আমার বাবার জমিকে অর্পিত সম্পত্তি দেখিয়ে নিজের পক্ষে একতরফা রায় নিয়েছেন। মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এটা করেছেন। আমাদের জমি অর্পিত সম্পত্তিতে পড়ে না। আমাদের খাজনা, খারিজসহ সব বৈধ কাগজ আছে। কিন্তু তার ক্ষমতার কাছে আমরা টিকতে পারি না। জাকির হোসেন পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। তার মেয়ে বাধা না দিলে তিনি পিস্তল নিয়ে তেড়ে আসতে ছিলেন। রৌমারী থানার ওসি আবদুল্লা হিল জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জিডি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যাগস

দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধান, অস্ত্র-ড্রোন উদ্ধার

পিস্তল উঁচিয়ে প্রতিবেশীকে হুমকি : জাকিরের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন ভুক্তভোগী

আপডেট সময় ১০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি দখল নিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী।  সোমবার (২৪ জুন) অভিযোগটি (জিডি) নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানান থানার ওসি আবদুল্লা হিল জামান। ভুক্তভোগীর নাম আনোয়ার হোসেন (৫৪)। তিনি উপজেলার রৌমারী গ্রামের বাসিন্দা এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রীর প্রতিবেশী। 
অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভুক্তভোগী (আনোয়ার হোসেন) পৈতৃক জমির ৪৫ শতক দখল করে নেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাকির হোসেন লোকজন দিয়ে দখলকৃত জমির পাশে থাকা ভুক্তভোগীর বাকি জমিতে মাটি ভরাট করে দখল করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি ভরাটে বাধা দিলে জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী, তার স্ত্রী সুরাইয়া সুলতানা ও ছেলে সাফোয়াত আদি জাকির ভুক্তভোগীকে শাসান ও মারধর করতে উদ্যত হন। একপর্যায়ে জাকির হোসেন পিস্তল উঁচিয়ে আনোয়ার হোসেনকে গুলি করার হুমকি প্রদান করেন। বিবাদীরা (জাকির হোসেন, তার স্ত্রী ও ছেলে) ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের লোকজনকে রাস্তাঘাটে একা পেলে মারধরের হুমকি দেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। 
পিস্তল উঁচিয়ে হুমকির অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, আমি দোতলায় ছিলাম। মেয়ে আমাকে নামতে দেয়নি। পিস্তল দেখাবে কী করে? তবে হ্যাঁ, আমার লাইসেন্স করা পিস্তল আছে। তবে সেটা দেখানোর জন্য না। তদন্ত করলে সত্য জানতে পারবেন। 
অপরদিকে আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি (জাকির হোসেন) ভুয়া দলিল বানিয়ে আমার বাবার জমিকে অর্পিত সম্পত্তি দেখিয়ে নিজের পক্ষে একতরফা রায় নিয়েছেন। মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এটা করেছেন। আমাদের জমি অর্পিত সম্পত্তিতে পড়ে না। আমাদের খাজনা, খারিজসহ সব বৈধ কাগজ আছে। কিন্তু তার ক্ষমতার কাছে আমরা টিকতে পারি না। জাকির হোসেন পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। তার মেয়ে বাধা না দিলে তিনি পিস্তল নিয়ে তেড়ে আসতে ছিলেন। রৌমারী থানার ওসি আবদুল্লা হিল জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জিডি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।