ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের আয় ২৭ কোটি টাকা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • 51

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

গত পঞ্জিকা বছরে (২০২৩) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয় দুটোই বেড়েছে। দলটির আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৯ হাজার ২৩২ টাকা বেশি। একই বছর দলটি ব্যয়ও বেড়েছে আগের চেয়ে দুই কোটি ৫১ হাজার ৪২১ টাকা বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইসি সচিব শফিউল আজিমের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন।

এ প্রসঙ্গে দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান সাংবাদিকের বলেন, বিধি মোতাবেক প্রতিবছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এ হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয়। আমরা আগেই দিলাম।

হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২ সালের তুলনায় ২৩ সালে আয় এবং ব্যয় দুটোই বেড়েছে আওয়ামী লীগের। ২০২৩ সালে দলটির ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। যেখানে ২০২২ সালে ব্যয় ছিল ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এর আগের বছরের আয় ছিল ১০ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
সংসদ নির্বাচনের নমিনেশন ফরম ছাড়াও আওয়ামী লীগের ২০২৩ সালে মাসিক চাঁদা এক কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার, মেঘনা ব্যাংকের অনুদান ১ কোটি ১ লাখ, অন্যান্য ফরম বিক্রি ২ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর ভাড়া ১৫ লাখ ৩৫ হাজার, ব্যাংক সুদ থেকে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার এবং অন্যান্য খাত থেকে ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এতে মোট ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে। আর নয় কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দলটির ব্যয় হয়েছে।

তিনি বলেন, অফিস স্টাফদের বেতন, রাজনৈতিক কর্মসূচি, পোস্টার ছাপানো, মানুষকে অনুদান, সাহায্য সহযোগিতা প্রভৃতি খাতে ব্যয় হয়ে থাকে। বছরের শুরুতে যে জমা টাকা ছিল, তার সঙ্গে ২০২৩ পঞ্জিকা বছরের উদ্বৃত্ত ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯ হাজার টাকা যোগ করলে মোট তহবিল দাঁড়ায় ৯০ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আবার গত ছয় মাসে আয় বেড়েছে। এখন আমরা ১০০ কোটি ক্রস করে গেছি।

প্রসঙ্গত, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি।

প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের আয় ২৭ কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

গত পঞ্জিকা বছরে (২০২৩) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয় দুটোই বেড়েছে। দলটির আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৯ হাজার ২৩২ টাকা বেশি। একই বছর দলটি ব্যয়ও বেড়েছে আগের চেয়ে দুই কোটি ৫১ হাজার ৪২১ টাকা বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইসি সচিব শফিউল আজিমের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন।

এ প্রসঙ্গে দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান সাংবাদিকের বলেন, বিধি মোতাবেক প্রতিবছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এ হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয়। আমরা আগেই দিলাম।

হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২ সালের তুলনায় ২৩ সালে আয় এবং ব্যয় দুটোই বেড়েছে আওয়ামী লীগের। ২০২৩ সালে দলটির ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। যেখানে ২০২২ সালে ব্যয় ছিল ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এর আগের বছরের আয় ছিল ১০ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
সংসদ নির্বাচনের নমিনেশন ফরম ছাড়াও আওয়ামী লীগের ২০২৩ সালে মাসিক চাঁদা এক কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার, মেঘনা ব্যাংকের অনুদান ১ কোটি ১ লাখ, অন্যান্য ফরম বিক্রি ২ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর ভাড়া ১৫ লাখ ৩৫ হাজার, ব্যাংক সুদ থেকে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার এবং অন্যান্য খাত থেকে ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এতে মোট ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে। আর নয় কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দলটির ব্যয় হয়েছে।

তিনি বলেন, অফিস স্টাফদের বেতন, রাজনৈতিক কর্মসূচি, পোস্টার ছাপানো, মানুষকে অনুদান, সাহায্য সহযোগিতা প্রভৃতি খাতে ব্যয় হয়ে থাকে। বছরের শুরুতে যে জমা টাকা ছিল, তার সঙ্গে ২০২৩ পঞ্জিকা বছরের উদ্বৃত্ত ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯ হাজার টাকা যোগ করলে মোট তহবিল দাঁড়ায় ৯০ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আবার গত ছয় মাসে আয় বেড়েছে। এখন আমরা ১০০ কোটি ক্রস করে গেছি।

প্রসঙ্গত, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি।

প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।