ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • 96

সিনিয়র রিপোর্টার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমার ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিদ্যমান রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। আশা করি, জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত এসব জনগণ যাতে নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে মিয়ানমার সেই পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মিয়ানমারের আবাসিক রাষ্ট্রদূত কাও সো তার পরিচয়পত্র পেশকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।  পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ। নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেয়। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, তাঁর দায়িত্ব পালনকালে দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে এবং উভয় দেশেরই এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। উভয় দেশেরই অন্বেষণের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ আগামী সেপ্টেম্বরে বিমসটেক এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। বিমসটেক-কে শক্তিশালী করতে মিয়ানমারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ। তাছাড়া বাংলাদেশ আসিয়ানের ডায়লগ পার্টনার হতে চায়। এই ব্যাপারে তিনি মিয়ানমারের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করে বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুতদের কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে তার দেশ কাজ করছে। এই ব্যাপারে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা তিনি তার সরকারকে জানাবেন এবং সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এর আগে, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূতকে ‘গার্ড অফ অনার’ প্রদান করে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

আপডেট সময় ০৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমার ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিদ্যমান রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। আশা করি, জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত এসব জনগণ যাতে নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে মিয়ানমার সেই পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মিয়ানমারের আবাসিক রাষ্ট্রদূত কাও সো তার পরিচয়পত্র পেশকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।  পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ। নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেয়। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, তাঁর দায়িত্ব পালনকালে দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে এবং উভয় দেশেরই এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। উভয় দেশেরই অন্বেষণের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ আগামী সেপ্টেম্বরে বিমসটেক এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। বিমসটেক-কে শক্তিশালী করতে মিয়ানমারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ। তাছাড়া বাংলাদেশ আসিয়ানের ডায়লগ পার্টনার হতে চায়। এই ব্যাপারে তিনি মিয়ানমারের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করে বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুতদের কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে তার দেশ কাজ করছে। এই ব্যাপারে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা তিনি তার সরকারকে জানাবেন এবং সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এর আগে, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূতকে ‘গার্ড অফ অনার’ প্রদান করে।