ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত কে এই মাসুদ পেজেশকিয়ান?

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • 34

অনলাইন ডেস্ক  : ইরানের নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান। গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিজয়ী হন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। জনগণের ভোটে নির্বাচিত পেজেশকিয়ান পেয়েছেন এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ ভোট।  অন্যদিকে, সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলির প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা এক কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৯।

মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণকারী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান হার্ট সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তার ঝুলিতে রয়েছে ইরানের দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।

গত ২৮ জুন প্রথম দফার নির্বাচনে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। সেবার পেজেশকিয়ান ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং জালিলি ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। এ কারণে  শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। গত মে মাসে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা হয় দেশটিতে।

ট্যাগস

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত কে এই মাসুদ পেজেশকিয়ান?

আপডেট সময় ০২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  : ইরানের নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান। গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিজয়ী হন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। জনগণের ভোটে নির্বাচিত পেজেশকিয়ান পেয়েছেন এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ ভোট।  অন্যদিকে, সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলির প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা এক কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৯।

মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণকারী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান হার্ট সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তার ঝুলিতে রয়েছে ইরানের দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।

গত ২৮ জুন প্রথম দফার নির্বাচনে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। সেবার পেজেশকিয়ান ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং জালিলি ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। এ কারণে  শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। গত মে মাসে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা হয় দেশটিতে।