ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার ইতিহাস

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • 151
অনলাইন ডেস্ক  :   সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডের (১ম ও ২য় শ্রেণী) কোটা পদ্ধতি বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরবর্তী পাঁচ বছর এই পরিপত্র বহাল থাকলেও ২০২৪ সালের জুনে তা বাতিল করা হয়। এর পর থেকে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
অনেকেই বর্তমান আন্দোলন সম্পর্কে জানলেও সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সূচনা ও প্রথম কত শতাংশ কোটা চালু হয়েছিল তা জানেন না। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮০ শতাংশ পদেই কোটা ভিত্তিতে এবং বাকী ২০ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো।
 সূত্র  বলছে,সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি চালুর ইতিহাসটি বেশ দীর্ঘ। ১৯৭৬ সালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের পরিমাণ ৪০ শতাংশে বাড়ানো হয় এবং ১৯৮৫ সালে ১ম ও ২য় শ্রেণির পদে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চালু করা হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা (৩০ শতাংশ), নারী কোটা (১০ শতাংশ), জেলা কোটা (১০ শতাংশ) এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা (৫ শতাংশ) চালু ছিল। পরে প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ ধরে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা নির্ধারিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পরবর্তীতে তাদের নাতি-নাতনিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু বরাদ্দকৃত কোটার ৫৬ শতাংশই প্রায় সময় পূরণ হতো না, ফলে ফাঁকা পদগুলো মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হতো।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার ইতিহাস

আপডেট সময় ০১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক  :   সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডের (১ম ও ২য় শ্রেণী) কোটা পদ্ধতি বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরবর্তী পাঁচ বছর এই পরিপত্র বহাল থাকলেও ২০২৪ সালের জুনে তা বাতিল করা হয়। এর পর থেকে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
অনেকেই বর্তমান আন্দোলন সম্পর্কে জানলেও সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সূচনা ও প্রথম কত শতাংশ কোটা চালু হয়েছিল তা জানেন না। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮০ শতাংশ পদেই কোটা ভিত্তিতে এবং বাকী ২০ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো।
 সূত্র  বলছে,সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি চালুর ইতিহাসটি বেশ দীর্ঘ। ১৯৭৬ সালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের পরিমাণ ৪০ শতাংশে বাড়ানো হয় এবং ১৯৮৫ সালে ১ম ও ২য় শ্রেণির পদে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চালু করা হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা (৩০ শতাংশ), নারী কোটা (১০ শতাংশ), জেলা কোটা (১০ শতাংশ) এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা (৫ শতাংশ) চালু ছিল। পরে প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ ধরে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা নির্ধারিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পরবর্তীতে তাদের নাতি-নাতনিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু বরাদ্দকৃত কোটার ৫৬ শতাংশই প্রায় সময় পূরণ হতো না, ফলে ফাঁকা পদগুলো মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হতো।