সিনিয়র রিপোর্টার
কোটাবিরোধীদের আন্দোলন নিয়ে হঠাৎ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের ছয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। তবে অন্যান্য দিনের মতো এদিন সংবাদ সম্মেলনটি খুব একটা দীর্ঘ হয়নি।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে দপ্তর কক্ষে চলে যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে দপ্তর কক্ষে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুই মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বেলা ১টা ৩২ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। তারা দু’জনও যোগ দেন বৈঠকে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করেই এ বৈঠকটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ, আইনগত দিক ও সম্ভাব্য করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা মনে করি উচ্চ আদালত বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দেবেন। সরকার কোটা বাতিলের পক্ষে আন্তরিক বলেই অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল করেছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আদালত কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ফের আপিল করা হয়েছে। তাই উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার।
কোটা আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে রাজনৈতিক ইস্যু যুক্ত হয়েছে। বিএনপি এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা (বিএনপি) সাপোর্ট করেছে। সাপোর্ট করা মানেই যুক্ত হয়ে যাওয়া। কারা যুক্ত হয়েছে, কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ কী না, সব কিছু সময় বলে দেবে।