ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিরক্ত হয়ে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছিলাম : প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
  • 109

সিনিয়র রিপোর্টার

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় বিরক্ত হয়ে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছিলাম। আন্দোলন তো না সহিংসতা। তারা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছিল। তখন আমি বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম সব কোটা বাদ দিয়ে দিলাম। তখনই বলেছিলাম যে কোটা বাদ দিলে দেখেন কী অবস্থা হয়। এখন দেখেন কী অবস্থা তৈরি হয়েছে?’

রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা (মুক্তিযোদ্ধারা) দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না।

এ সময় কোটা প্রশ্নে আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত সরকারের কিছু করার নেই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আদালত তাদের সুযোগ দিয়েছে। আদালত তাদের বলেছেন যে আপনারা আসেন, আদালতে কথা বলেন। আদালত যখন কথা বলেছে, বিষয়টি যখন আদালতে গেছে তখন আদালতের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কোন অধিকার আমার নেই। এটা আমার সংবিধানও বলে না। সংসদও সেটা বলে না। আমার কার্যবিধিও সেটা বলে না।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই বেইজিং সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ জুলাই দেশে ফিরে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু সফরসূচিতে পরিবর্তন এনে একদিন আগে দেশে ফেরেন (১০ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী। বেইজিংয়ে অবস্থানকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন।

সফরের শেষ দিন ১০ জুলাই বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের পর দুই দেশ ২১টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে এবং সাতটি প্রকল্পের ঘোষণা দেয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিরক্ত হয়ে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছিলাম : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় বিরক্ত হয়ে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছিলাম। আন্দোলন তো না সহিংসতা। তারা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছিল। তখন আমি বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম সব কোটা বাদ দিয়ে দিলাম। তখনই বলেছিলাম যে কোটা বাদ দিলে দেখেন কী অবস্থা হয়। এখন দেখেন কী অবস্থা তৈরি হয়েছে?’

রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা (মুক্তিযোদ্ধারা) দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না।

এ সময় কোটা প্রশ্নে আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত সরকারের কিছু করার নেই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আদালত তাদের সুযোগ দিয়েছে। আদালত তাদের বলেছেন যে আপনারা আসেন, আদালতে কথা বলেন। আদালত যখন কথা বলেছে, বিষয়টি যখন আদালতে গেছে তখন আদালতের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কোন অধিকার আমার নেই। এটা আমার সংবিধানও বলে না। সংসদও সেটা বলে না। আমার কার্যবিধিও সেটা বলে না।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই বেইজিং সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ জুলাই দেশে ফিরে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু সফরসূচিতে পরিবর্তন এনে একদিন আগে দেশে ফেরেন (১০ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী। বেইজিংয়ে অবস্থানকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন।

সফরের শেষ দিন ১০ জুলাই বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের পর দুই দেশ ২১টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে এবং সাতটি প্রকল্পের ঘোষণা দেয়।