ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দোলন : দুপুরে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল কর্মসূচি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
  • 88

সিনিয়র রিপোর্টার

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে ‌পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আজ গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল কর্মসূচি পালন করবেন আন্দোলনকারীরা।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ (মঙ্গলবার) হামলায় নিহত শহীদ ভাইদের জন্য আগামীকাল বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টায় রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়, আপনারা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলায় জেলায় গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল পালন করুন। ঢাকায় অবস্থানরত সকলে রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে সময়মতো চলে আসুন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিসি চত্বর থেকে নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না করে চলে যান কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, আজকের মতো এখানে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি। আমরা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেব। সেটি পরে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিনভর সারাদেশে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়। এর মধ্যে রাজধানীতে দুজন, চট্টগ্রামে তিনজন এবং রংপুরে একজন। আহত হয়েছেন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। রংপুরে নিহত শিক্ষার্থীর নাম আবু সাঈদ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেরোবিতে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। এদিন দুপুরে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় গেটে জড়ো হলে তাদের ওপর রাবার বুলেট ও গুলি চালায় পুলিশ। এতে আবুদ সাঈদ নিহত হন।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা আন্দোলন : দুপুরে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল কর্মসূচি

আপডেট সময় ০৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে ‌পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আজ গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল কর্মসূচি পালন করবেন আন্দোলনকারীরা।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ (মঙ্গলবার) হামলায় নিহত শহীদ ভাইদের জন্য আগামীকাল বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টায় রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়, আপনারা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলায় জেলায় গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল পালন করুন। ঢাকায় অবস্থানরত সকলে রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে সময়মতো চলে আসুন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিসি চত্বর থেকে নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না করে চলে যান কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, আজকের মতো এখানে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি। আমরা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেব। সেটি পরে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিনভর সারাদেশে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়। এর মধ্যে রাজধানীতে দুজন, চট্টগ্রামে তিনজন এবং রংপুরে একজন। আহত হয়েছেন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। রংপুরে নিহত শিক্ষার্থীর নাম আবু সাঈদ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেরোবিতে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। এদিন দুপুরে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় গেটে জড়ো হলে তাদের ওপর রাবার বুলেট ও গুলি চালায় পুলিশ। এতে আবুদ সাঈদ নিহত হন।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।