নিউজ ডেস্ক
বিআরটিএ চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুর্বৃত্তদের আগুনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সদর দপ্তরের সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সারাদেশে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানসহ বিআরটিএর সব ধরণের পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। ডেটা সার্ভার পুনরায় চালু না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতই থাকবে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সারা দেশে আমাদের সব ধরনের পরিষেবা স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌতম চন্দ্র পাল। তবে কবে নাগাদ এসব পরিষেবা চালু হতে পারে তা বলতে পারেননি তিনি।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, যানবাহন ও অন্যান্য জিনিসের ক্ষতি ছাড়াও আমাদের ভবন পুড়িয়ে দেওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আমরা কিছু জরুরি কাজ করার জন্য অফিস প্রাঙ্গণে দুটি তাঁবু টানিয়ে অস্থায়ী অফিস তৈরি করেছি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য গঠিত কমিটিও সেখান থেকে তাদের কাজ সম্পন্ন করেছে। বিআরটিএ সদর দপ্তরের ১২টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগুন দেওয়া হয়েছে ভবনের নিচে থেকে ষষ্ঠতলা পর্যন্ত।
কর্মকর্তারা জানান, বিআরটিএ সারা দেশে ৭০টি সার্কেল অফিস থেকে ৫০টিরও বেশি ধরনের সেবা প্রদান করে এবং এর বেশিরভাগই অনলাইনকেন্দ্রীক। ভবনের পানি সরবরাহ লাইন, কন্ট্রোল রুমের এসি ও জেনারেটর, কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই রাজধানীর বনানী এলাকায় বিআরটিএ সদর দপ্তরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। সেখানেই এসব পরিষেবা সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা সার্ভার ছিল।