ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচলিত আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে ‘জাতীয় গণতদন্ত কমিশন’

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • 105

সিনিয়র রিপোর্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানি, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, গুলি ও গণগ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা তদন্তে ‘জাতীয় গণতদন্ত কমিশন’ গঠন করা হয়েছে। 

সোমবার (২৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এটি পাঠিয়েছেন গণতদন্ত কমিশনের যুগ্ম সদস্য সচিব তানজিমউদ্দিন খান ও মাহা মির্জা। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। এর প্রতিবাদে সারাদেশে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামলে, রংপুরে আবু সাঈদকে সরাসরি বুকে গুলি করা হয়। কিন্তু পুলিশের করা মামলায় সাধারণ ছাত্র ও জনগণকেই দায়ী করা হয়েছে। এতে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে এবং এইসব ঘটনায় সত্য উদঘাটনের দাবি উঠেছে। এ ঘটনায় জাতীয় দৈনিকের হিসাবে অন্তত ২০৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ হলেও সরকারি হিসেবে তা ১৪৭ জন।

ওই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, গুলি ও গণগ্রেপ্তারসহ নানা সহিংস উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং তাতে সংবিধান, প্রচলিত আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তাই এসব ঘটনার কারণ উদঘাটন, সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের আবশ্যকতা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও সাধারণ অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দেশের কয়েকজন প্রথিতযশা ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি ‘জাতীয় গণতদন্ত কমিশন’ গঠন করা হয়েছে। 

কমিশনের সদস্যরা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, আইনজীবী অনীক আর হক, অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কমিশনের যুগ্ম সভাপতি হবেন বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও সুলতানা কামাল। আর যৌথ সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান ও মাহা মির্জা। এছাড়াও এই গণতদন্ত কমিশনে উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তোবারক হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, আইনজীবী ও শিক্ষক ড. শাহদীন মালিক, লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ্‌ খান, শিক্ষক কাজী মাহফুজুল হক সুপন, আইনজীবী রাশনা ইমাম, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার।

জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে সব সচেতন ব্যক্তিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১ জুলাই থেকে সংগঠিত বিভিন্ন সহিংস নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুলিবর্ষণ, হুমকি, মামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাবতীয় তথ্য কমিশনের কাছে পাঠানোর জন্য শিগগিরই অনুরোধ জানানো হবে। এই সংক্রান্ত অডিও, ভিডিও, ছবি ও লেখাসহ যেকোনো ধরনের তথ্যই পাঠানো যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তদন্ত কমিটি, কোটা আন্দোলন

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রচলিত আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে ‘জাতীয় গণতদন্ত কমিশন’

আপডেট সময় ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানি, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, গুলি ও গণগ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা তদন্তে ‘জাতীয় গণতদন্ত কমিশন’ গঠন করা হয়েছে। 

সোমবার (২৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এটি পাঠিয়েছেন গণতদন্ত কমিশনের যুগ্ম সদস্য সচিব তানজিমউদ্দিন খান ও মাহা মির্জা। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। এর প্রতিবাদে সারাদেশে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামলে, রংপুরে আবু সাঈদকে সরাসরি বুকে গুলি করা হয়। কিন্তু পুলিশের করা মামলায় সাধারণ ছাত্র ও জনগণকেই দায়ী করা হয়েছে। এতে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে এবং এইসব ঘটনায় সত্য উদঘাটনের দাবি উঠেছে। এ ঘটনায় জাতীয় দৈনিকের হিসাবে অন্তত ২০৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ হলেও সরকারি হিসেবে তা ১৪৭ জন।

ওই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, গুলি ও গণগ্রেপ্তারসহ নানা সহিংস উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং তাতে সংবিধান, প্রচলিত আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তাই এসব ঘটনার কারণ উদঘাটন, সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের আবশ্যকতা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও সাধারণ অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দেশের কয়েকজন প্রথিতযশা ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি ‘জাতীয় গণতদন্ত কমিশন’ গঠন করা হয়েছে। 

কমিশনের সদস্যরা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, আইনজীবী অনীক আর হক, অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কমিশনের যুগ্ম সভাপতি হবেন বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও সুলতানা কামাল। আর যৌথ সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান ও মাহা মির্জা। এছাড়াও এই গণতদন্ত কমিশনে উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তোবারক হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, আইনজীবী ও শিক্ষক ড. শাহদীন মালিক, লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ্‌ খান, শিক্ষক কাজী মাহফুজুল হক সুপন, আইনজীবী রাশনা ইমাম, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার।

জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে সব সচেতন ব্যক্তিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১ জুলাই থেকে সংগঠিত বিভিন্ন সহিংস নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুলিবর্ষণ, হুমকি, মামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাবতীয় তথ্য কমিশনের কাছে পাঠানোর জন্য শিগগিরই অনুরোধ জানানো হবে। এই সংক্রান্ত অডিও, ভিডিও, ছবি ও লেখাসহ যেকোনো ধরনের তথ্যই পাঠানো যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তদন্ত কমিটি, কোটা আন্দোলন