ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • 101

অনলাইন ডেস্ক  :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্ত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়া হবে। মঙ্গলবার জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি প্রযুক্তিগত সহায়তা নেব যাতে এটি যথাযথ, মানসম্পন্ন এবং উচ্চ মানসম্পন্ন হয়।’

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই তদন্তে সহায়তা নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের (ইউএন) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। প্রেস সচিব বলেন, ‘জাতিসংঘ তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে এবং বাংলাদেশও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’ জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার জানিয়েছেন, এছাড়াও তার দেশ বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

ধর্মীয় উগ্রবাদ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সহানুভূতি নেই। তারা প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভাষণে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে একটি স্বাধীন তদন্ত হবে। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটি যারা দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করলে তাদের বিচার হবে।’

আচিম ট্রোস্টার, বাংলাদেশে দূতাবাসের ধীর গতির ভিসা পদ্ধতিতে সদিচ্ছার অভাব নয় বরং সম্পদের সীমাবদ্ধতাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি ভিসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে এই অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জার্মানির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

জার্মানির রাষ্ট্রদূত আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য সরকার ঘোষিত শোক দিবসে তার শোক ব্যক্ত করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

‘ভুলচিকিৎসায়’ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ : ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটক ভাঙচুর

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্ত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়া হবে। মঙ্গলবার জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি প্রযুক্তিগত সহায়তা নেব যাতে এটি যথাযথ, মানসম্পন্ন এবং উচ্চ মানসম্পন্ন হয়।’

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই তদন্তে সহায়তা নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের (ইউএন) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। প্রেস সচিব বলেন, ‘জাতিসংঘ তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে এবং বাংলাদেশও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’ জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার জানিয়েছেন, এছাড়াও তার দেশ বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

ধর্মীয় উগ্রবাদ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সহানুভূতি নেই। তারা প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভাষণে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে একটি স্বাধীন তদন্ত হবে। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটি যারা দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করলে তাদের বিচার হবে।’

আচিম ট্রোস্টার, বাংলাদেশে দূতাবাসের ধীর গতির ভিসা পদ্ধতিতে সদিচ্ছার অভাব নয় বরং সম্পদের সীমাবদ্ধতাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি ভিসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে এই অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জার্মানির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

জার্মানির রাষ্ট্রদূত আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য সরকার ঘোষিত শোক দিবসে তার শোক ব্যক্ত করেন।