সিনিয়র রিপোর্টার
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মিথ্যা গুজব ও অপপ্রচার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির দেওয়া চিঠির জবাবে ইমেইল পাঠিয়েছে টিকটক। তবে দেশে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। আগামীকাল (৩১ জুলাই) পর্যন্ত তাদের সময় আছে। দেখা যাক তারা কী করে। জবাব পাওয়া সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ইন্টারনেট সেবাকে রেস্ট্রিকটেড করে রাখেনি। ইন্টারনেটে বন্ধ থাকার কারণে ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ফ্রিল্যান্সারদের ক্যাশ ইনসেন্টিভ দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হবে। গত কয়েক দিনে ভিপিএন ব্যবহার বেড়েছে। এটি সাইবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গত ১০ দিনে সরকারের ৮টি ওয়েবসাইটে ৫০ হাজারের বেশি সাইবার হামলা হয়েছে। এছাড়া ৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। তবে কোন তথ্য বেহাত হয়নি।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট করার পরামর্শ দিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভিপিএন ব্যবহারে সাইবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। লাইসেন্সবিহীন পাইরেটেড সফওয়্যার ব্যবহার না করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্তক করা হয়েছে। কোনও প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হলে তা আইসিটি বিভাগকে জানাতে হবে।
বৈঠকে মূল কার্যসম্পাদন সূচকের (কেপিআই) ৩৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান সাইবার নিরাপত্তা অবস্থা পর্যালোচনা শেষে পরিস্থিতি তুলে ধরেন পলক।
জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা অ্যাসেসমেন্ট কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নাগরিকদের নিয়ে সাইবার নিরাপত্তা ফোরাম গঠন করা হবে। যাদের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে ভালো জ্ঞান আছে, এমন নাগরিকদের দেশে সাইবার নিরাপত্তায় এগিয়ে আসতে হবে।