ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘গণহত্যা-গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত করুন’

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • 92

সিনিয়র রিপোর্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো গণহত্যা এবং পরবর্তীতে ব্লক রেইড দিয়ে গণগ্রেপ্তার করে রিমান্ডের নামে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের ৭২ বিশিষ্ট নাগরিক। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সকল ঘটনার তদন্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে অবিলম্বে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানান বিশিষ্ট ৭২ নাগরিক।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরস্ত্র নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর যেন আর বল প্রয়োগ করা না হয় এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা না হয়। গত ১৫/২০ দিন ধরে চলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনের জন্য সরকারের নির্দেশে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ যৌথভাবে হামলা চালাচ্ছে। শিক্ষার্থী, কোমলমতি শিশু, সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাধারণ নাগরিকসহ কয়েক হাজার। এসব ঘটনায় গায়েবি মামলা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে আসামি করায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বত্র। ভয়ংকর ভীতির জনপদ সৃষ্টি করা হয়েছে । এর জন্য সবাইকে একদিন খেসারত দিতে হবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন- বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, আলমগীর মহিউদ্দিন, আবুল আসাদ,কবি আল-মুজাহেদী, প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, প্রফেসর  ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার চৌধুরী, প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম, কবি আবদুল হাই শিকদার, এরশাদ মজুমদার, মোকাররম হোসেন, মোস্তফা কামাল মজুমদার, রুহুল আমিন গাজী,এম এ আজিজ ,এলাহী নেওয়াজ খান, প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, প্রফেসর ড. সদরুল আমীন, অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাসেম, প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, কাদের গনি চৌধুরী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলাম (ঢাবি), প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হক (রাবি), ডা. ওয়াসিম হোসেন, প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান (ঢাবি), প্রফেসর ড.ইয়ারুল কবীর (ঢাবি), প্রফেসর ড. ফজলুল হক (বাকৃবি), প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান (ঢাবি), প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান (জাবি) প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ (রাবি), প্রফেসর ড. মীর্জা গোলাম হাফিজ কেনেডী (বাকৃবি), প্রফেসর ড. শামছুল আলম জাবি) প্রফেসর ড. আল মোজাদ্দেদ আলফেসানী (ঢাবি), প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন (ইবি), আমিরুল ইসলাম কাগজী, মো. শহিদুল ইসলাম, খুরশীদ আলম, কবি হাসান হাফিজ, কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, প্রফেসর ড. নছরুল কাদের (চবি), প্রফেসর ড. রেজাউল করিম (খুবি), প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম (শাবিপ্রবি), এডভোকেট মাইনুল আহসান পান্না, প্রফেসর ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক (রুয়েট), প্রফেসর ড. দিল আরা হোসেন (রাবি), প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক (শাবিপ্রবি), প্রফেসর ড. নূর মহল বেগম (শেকৃবি) প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

‘গণহত্যা-গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত করুন’

আপডেট সময় ০৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো গণহত্যা এবং পরবর্তীতে ব্লক রেইড দিয়ে গণগ্রেপ্তার করে রিমান্ডের নামে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের ৭২ বিশিষ্ট নাগরিক। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সকল ঘটনার তদন্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে অবিলম্বে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানান বিশিষ্ট ৭২ নাগরিক।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরস্ত্র নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর যেন আর বল প্রয়োগ করা না হয় এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা না হয়। গত ১৫/২০ দিন ধরে চলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনের জন্য সরকারের নির্দেশে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ যৌথভাবে হামলা চালাচ্ছে। শিক্ষার্থী, কোমলমতি শিশু, সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাধারণ নাগরিকসহ কয়েক হাজার। এসব ঘটনায় গায়েবি মামলা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে আসামি করায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বত্র। ভয়ংকর ভীতির জনপদ সৃষ্টি করা হয়েছে । এর জন্য সবাইকে একদিন খেসারত দিতে হবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন- বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, আলমগীর মহিউদ্দিন, আবুল আসাদ,কবি আল-মুজাহেদী, প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, প্রফেসর  ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার চৌধুরী, প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম, কবি আবদুল হাই শিকদার, এরশাদ মজুমদার, মোকাররম হোসেন, মোস্তফা কামাল মজুমদার, রুহুল আমিন গাজী,এম এ আজিজ ,এলাহী নেওয়াজ খান, প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, প্রফেসর ড. সদরুল আমীন, অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাসেম, প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, কাদের গনি চৌধুরী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলাম (ঢাবি), প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হক (রাবি), ডা. ওয়াসিম হোসেন, প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান (ঢাবি), প্রফেসর ড.ইয়ারুল কবীর (ঢাবি), প্রফেসর ড. ফজলুল হক (বাকৃবি), প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান (ঢাবি), প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান (জাবি) প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ (রাবি), প্রফেসর ড. মীর্জা গোলাম হাফিজ কেনেডী (বাকৃবি), প্রফেসর ড. শামছুল আলম জাবি) প্রফেসর ড. আল মোজাদ্দেদ আলফেসানী (ঢাবি), প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন (ইবি), আমিরুল ইসলাম কাগজী, মো. শহিদুল ইসলাম, খুরশীদ আলম, কবি হাসান হাফিজ, কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, প্রফেসর ড. নছরুল কাদের (চবি), প্রফেসর ড. রেজাউল করিম (খুবি), প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম (শাবিপ্রবি), এডভোকেট মাইনুল আহসান পান্না, প্রফেসর ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক (রুয়েট), প্রফেসর ড. দিল আরা হোসেন (রাবি), প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক (শাবিপ্রবি), প্রফেসর ড. নূর মহল বেগম (শেকৃবি) প্রমুখ।