ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজবের ছড়াছড়ি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
  • 94

সিনিয়র রিপোর্টার

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এদিন সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ ঘোষণা দেন। এরপর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করেন শাহবাগে। রবিবার (৪ আগস্ট) অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে রাত ৯টার দিকে শাহবাগ ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।

তবে আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা গল্প, গুজব, অসত্য তথ্য ছড়াতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকজুড়ে। শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের রাতভর শাহবাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অবস্থান, শাহবাগে অবস্থান, আন্দোলনকারীদের টাকাসহ গ্রেপ্তার ছাড়াও অনেক গুজব প্রচার হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ফেসবুক পোস্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ‘৭ মিনিটে পরিস্কার’ এর পোস্টও দেখা যায়। তবে বাস্তবে এগুলোর কোনো সত্যতা মেলেনি।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার সন্ধ্যার পরপর রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় অবস্থান করে মিছিল ও স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। তারা রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শাহবাগ ত্যাগ করেন। তবে রাতভর গুজব চলে, ‘শিক্ষার্থীরা শাহবাগ ও টিএসসিতে অবস্থান করছেন। সরকারের পদত্যাগের পর তারা ঘরে ফিরবে’। এমন পোস্ট দেখার পর রাত ৩টার দিকে শাহবাগ ও টিএসসিতে গিয়ে কোনো জমায়েত দেখা যায়নি।

রাতে বেশ কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপে ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক আইডিতে কয়েকটি এক হাজার টাকার বান্ডিলের ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা হয় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা সার্জিসের বাসা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১০। তবে যাচাই করে দেখা যায়, যে ছবিটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে সেটি কয়েকদিন আগে এক তরুণী একটি গ্রুপে পোস্ট দেন। পোস্টে লেখা ছিল, ‘আব্বুর পেনশনের টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নিলাম।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শনিবার রাতভর দেশের পরিচিত ইউটিউবার, ইনফ্লুয়েন্সার ও অভিনেতাদের নামে ছবিসহ ভুয়া পোস্ট করা হয়। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম, ভারতীয় অভিনেতা শাহরুখ খান, অভিনেত্রী কাজলের ছবি দিয়ে পোস্ট করা হয়, ‘কোটা আন্দোলনের পাশে ছিলাম, এখন যেটা চাচ্ছেন সেটার পাশে নাই’। টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক ও ইউটিউবার রাফসান দ্যা ছোট ভাই -এর ছবি দিয়েও একই কথা পোস্ট করা হয়।

তবে তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে গিয়ে এধরনের কোনো পোস্ট দেখা যায়নি।

বেশ কয়েকটি গ্রুপে পোস্ট দেওয়া হয়, রাতের মধ্যে দেশ ছাড়ছেন কোটা আন্দোলনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তাদের দেশ ছাড়তে দেবেন না। ১ দফার হিসাব বাকি আছে।

তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফ্যাক্ট চেকাররা বলছেন, শনিবার রাতভর গুজবের রাত ছিল। তবে কোনো গুজবেরই সত্যতা পাননি তারা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজবের ছড়াছড়ি

আপডেট সময় ১২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এদিন সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ ঘোষণা দেন। এরপর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করেন শাহবাগে। রবিবার (৪ আগস্ট) অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে রাত ৯টার দিকে শাহবাগ ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।

তবে আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা গল্প, গুজব, অসত্য তথ্য ছড়াতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকজুড়ে। শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের রাতভর শাহবাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অবস্থান, শাহবাগে অবস্থান, আন্দোলনকারীদের টাকাসহ গ্রেপ্তার ছাড়াও অনেক গুজব প্রচার হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ফেসবুক পোস্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ‘৭ মিনিটে পরিস্কার’ এর পোস্টও দেখা যায়। তবে বাস্তবে এগুলোর কোনো সত্যতা মেলেনি।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার সন্ধ্যার পরপর রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় অবস্থান করে মিছিল ও স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। তারা রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শাহবাগ ত্যাগ করেন। তবে রাতভর গুজব চলে, ‘শিক্ষার্থীরা শাহবাগ ও টিএসসিতে অবস্থান করছেন। সরকারের পদত্যাগের পর তারা ঘরে ফিরবে’। এমন পোস্ট দেখার পর রাত ৩টার দিকে শাহবাগ ও টিএসসিতে গিয়ে কোনো জমায়েত দেখা যায়নি।

রাতে বেশ কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপে ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক আইডিতে কয়েকটি এক হাজার টাকার বান্ডিলের ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা হয় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা সার্জিসের বাসা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১০। তবে যাচাই করে দেখা যায়, যে ছবিটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে সেটি কয়েকদিন আগে এক তরুণী একটি গ্রুপে পোস্ট দেন। পোস্টে লেখা ছিল, ‘আব্বুর পেনশনের টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নিলাম।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শনিবার রাতভর দেশের পরিচিত ইউটিউবার, ইনফ্লুয়েন্সার ও অভিনেতাদের নামে ছবিসহ ভুয়া পোস্ট করা হয়। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম, ভারতীয় অভিনেতা শাহরুখ খান, অভিনেত্রী কাজলের ছবি দিয়ে পোস্ট করা হয়, ‘কোটা আন্দোলনের পাশে ছিলাম, এখন যেটা চাচ্ছেন সেটার পাশে নাই’। টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক ও ইউটিউবার রাফসান দ্যা ছোট ভাই -এর ছবি দিয়েও একই কথা পোস্ট করা হয়।

তবে তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে গিয়ে এধরনের কোনো পোস্ট দেখা যায়নি।

বেশ কয়েকটি গ্রুপে পোস্ট দেওয়া হয়, রাতের মধ্যে দেশ ছাড়ছেন কোটা আন্দোলনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তাদের দেশ ছাড়তে দেবেন না। ১ দফার হিসাব বাকি আছে।

তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফ্যাক্ট চেকাররা বলছেন, শনিবার রাতভর গুজবের রাত ছিল। তবে কোনো গুজবেরই সত্যতা পাননি তারা।