ঢাকা , রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে গণপরিবহন সংকটে ভোগান্তি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
  • 47

সিনিয়র রিপোর্টার

সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনের ডাক ও সরকারি দলের পাল্টা জমায়েত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অফিসগামীদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গণপরিবহনের জন্য মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সড়কে রিকশা, বাইক ও প্রাইভেট কার দেখা গেছে। তাও তুলনামূলক কম। 

সরেজমিনে দেখা যায়, রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকেই গণপরিবহনের জন্য অফিসগামী মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষা। তবে মিলছে না বাস। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অফিসগামী যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গণপরিবহন না পেয়ে অনেকে রিকশায় ভেঙে ভেঙে, অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা করেন।

এদিন গুলিস্তান, পল্টন, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, কাজিপাড়া, মিরপুরসহ রাজধানীর প্রায় সব সড়কেই এমন অবস্থা লক্ষ্য করা যায়।

এ সময় রাস্তা ফাঁকা থাকলেও গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা জানান, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাস পাননি তারা। মাঝে মধ্যে বাস এলেও সেটি থাকে যাত্রীভর্তি।

পল্টনে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা মাহিম নামে এক যাত্রী বলেন, অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি, কোনো বাস পাচ্ছি না। দু-একটা বাস এলেও যাত্রীবোঝাই থাকার কারণে ওঠা য়ায় না।

মিরপুরে কামাল হোসেন নামে এক পথচারী জানান, তিনি কিছুটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। কারণ, আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি যেকোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করবেন। অন্যদিকে সরকারদলীয় লোকজন বলছেন, তারা মাঠে থাকবেন।

উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল ৩টায় ছাত্রজনতার বিক্ষোভ মিছিলে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। সেই সঙ্গে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সর্বাত্মক অসহযোগের ডাক দেয়।

অন্যদিকে একইদিন দুপুরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর মাঝে রবিবার ঢাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ও দেশজুড়ে সকল বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে জমায়াতের ঘোষণা আছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণা অনুযায়ী, অসহযোগ কর্মসূচির মধ্যে হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, জরুরি পরিবহনসেবা (ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন), অ্যাম্বুলেন্স-সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট-সেবা, জরুরি ত্রাণসহায়তা এবং এ খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবহনসেবা চালু থাকবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীতে গণপরিবহন সংকটে ভোগান্তি

আপডেট সময় ১২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনের ডাক ও সরকারি দলের পাল্টা জমায়েত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অফিসগামীদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গণপরিবহনের জন্য মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সড়কে রিকশা, বাইক ও প্রাইভেট কার দেখা গেছে। তাও তুলনামূলক কম। 

সরেজমিনে দেখা যায়, রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকেই গণপরিবহনের জন্য অফিসগামী মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষা। তবে মিলছে না বাস। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অফিসগামী যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গণপরিবহন না পেয়ে অনেকে রিকশায় ভেঙে ভেঙে, অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা করেন।

এদিন গুলিস্তান, পল্টন, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, কাজিপাড়া, মিরপুরসহ রাজধানীর প্রায় সব সড়কেই এমন অবস্থা লক্ষ্য করা যায়।

এ সময় রাস্তা ফাঁকা থাকলেও গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা জানান, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাস পাননি তারা। মাঝে মধ্যে বাস এলেও সেটি থাকে যাত্রীভর্তি।

পল্টনে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা মাহিম নামে এক যাত্রী বলেন, অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি, কোনো বাস পাচ্ছি না। দু-একটা বাস এলেও যাত্রীবোঝাই থাকার কারণে ওঠা য়ায় না।

মিরপুরে কামাল হোসেন নামে এক পথচারী জানান, তিনি কিছুটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। কারণ, আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি যেকোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করবেন। অন্যদিকে সরকারদলীয় লোকজন বলছেন, তারা মাঠে থাকবেন।

উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল ৩টায় ছাত্রজনতার বিক্ষোভ মিছিলে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। সেই সঙ্গে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সর্বাত্মক অসহযোগের ডাক দেয়।

অন্যদিকে একইদিন দুপুরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর মাঝে রবিবার ঢাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ও দেশজুড়ে সকল বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে জমায়াতের ঘোষণা আছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণা অনুযায়ী, অসহযোগ কর্মসূচির মধ্যে হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, জরুরি পরিবহনসেবা (ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন), অ্যাম্বুলেন্স-সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট-সেবা, জরুরি ত্রাণসহায়তা এবং এ খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবহনসেবা চালু থাকবে।