ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে, জানালেন আসিফ নজরুল

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
  • 84

সিনিয়র রিপোর্টার

সংস্কার এবং নতুন নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে সমন্বয় করে যতদিন থাকা দরকার ততদিনই ক্ষমতায় থাকবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর বেশিও না, কমও না। এমনটিই জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে, সকালে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা আসিফ নজরুলকে অভ্যর্থনা জানান।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কতদিন থাকবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটির মেয়াদের ব্যাপারে এখনো কোনো কথা হয়নি। একটি জিনিস মাথায় রাখবেন, সেটি হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন, আবার এ দেশের সাধারণ মানুষের যে সংস্কার আকাঙ্ক্ষা, সেখানে প্রত্যাশা থাকবে এ সরকার যেন জরুরি কিছু সংস্কার করে যায়।

তিনি বলেন, কারণ আমরা অতীতে দেখেছি নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এমনকি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কেও জনগণকে নির্যাতনের পথ হিসেবে চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু-কিছু ভালো সার্ভিস পেয়েছি। এসব প্রতিষ্ঠানে কিছু-কিছু ভালো মানুষ আছেন। কিন্তু পুরো সিস্টেমকে এমনভাবে দাঁড় করিয়েছিল, ভিন্নমত পোষণকারী মানুষ, মৌলিক অধিকার চর্চাকারী মানুষের জন্য এ প্রতিষ্ঠানগুলো একটি আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল। 

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যদি আমি বলি আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা জীবন মিস করি, আমি আমার উন্মুক্ত ফ্রি জীবন মিস করি। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ কবে আমি আমার সেই জীবনে ফিরে যেতে পারবো, যেটি আমার ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য অনেক বেশি এনজয়বল। ফলে ব্যক্তিগত অভিমত এটি। কিন্তু দায়িত্বের জায়গা থেকে আমাকে এখানে এবং আমাদের অন্যান্য উপদেষ্টাকে যে দায়িত্বের জন্য আমরা এখানে এসেছি সে দায়িত্ব আমরা পালন করার চেষ্টা করব।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা তো আপনারা জানেন। এখানে যদি ওভারহোলিং না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে তারা তো এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেভাবে ব্যবহার করবে। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা সুখবর নয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা

অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে, জানালেন আসিফ নজরুল

আপডেট সময় ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

সংস্কার এবং নতুন নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে সমন্বয় করে যতদিন থাকা দরকার ততদিনই ক্ষমতায় থাকবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর বেশিও না, কমও না। এমনটিই জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে, সকালে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা আসিফ নজরুলকে অভ্যর্থনা জানান।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কতদিন থাকবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটির মেয়াদের ব্যাপারে এখনো কোনো কথা হয়নি। একটি জিনিস মাথায় রাখবেন, সেটি হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন, আবার এ দেশের সাধারণ মানুষের যে সংস্কার আকাঙ্ক্ষা, সেখানে প্রত্যাশা থাকবে এ সরকার যেন জরুরি কিছু সংস্কার করে যায়।

তিনি বলেন, কারণ আমরা অতীতে দেখেছি নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এমনকি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কেও জনগণকে নির্যাতনের পথ হিসেবে চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু-কিছু ভালো সার্ভিস পেয়েছি। এসব প্রতিষ্ঠানে কিছু-কিছু ভালো মানুষ আছেন। কিন্তু পুরো সিস্টেমকে এমনভাবে দাঁড় করিয়েছিল, ভিন্নমত পোষণকারী মানুষ, মৌলিক অধিকার চর্চাকারী মানুষের জন্য এ প্রতিষ্ঠানগুলো একটি আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল। 

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যদি আমি বলি আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা জীবন মিস করি, আমি আমার উন্মুক্ত ফ্রি জীবন মিস করি। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ কবে আমি আমার সেই জীবনে ফিরে যেতে পারবো, যেটি আমার ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য অনেক বেশি এনজয়বল। ফলে ব্যক্তিগত অভিমত এটি। কিন্তু দায়িত্বের জায়গা থেকে আমাকে এখানে এবং আমাদের অন্যান্য উপদেষ্টাকে যে দায়িত্বের জন্য আমরা এখানে এসেছি সে দায়িত্ব আমরা পালন করার চেষ্টা করব।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা তো আপনারা জানেন। এখানে যদি ওভারহোলিং না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে তারা তো এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেভাবে ব্যবহার করবে। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা সুখবর নয়।