ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • 100

সিনিয়র রিপোর্টার

স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে ফলাফল কীভাবে দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত পরে হবে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তপন কুমার সরকার বলেন, স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলো না নেওয়ার জন্য এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই স্থগিত থাকা বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে, দুপুরে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন হাজারো এইচএসসি পরীক্ষার্থী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা না দেওয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এরইমধ্যে যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। কারণ হিসেবে আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী আহত হওয়া এবং পড়াশোনায়ও ক্ষতি হওয়ার কথা উল্লেখ করেন তারা।

পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় সচিবের কক্ষের বাইরে পরীক্ষা না দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত অনেক পরীক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন থেকে। এরপর পহেলা জুলাই থেকে চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও এর মধ্যেই ঢাকা বোর্ডের সাতটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বোর্ডের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হয়ে ওঠায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। কয়েক ধাপে পরীক্ষা পেছানো হয়।

সবশেষ শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে এক জরুরি সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা আরো দুই সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থেকে ৫০ নম্বরের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে অর্থাৎ অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা

আপডেট সময় ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে ফলাফল কীভাবে দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত পরে হবে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তপন কুমার সরকার বলেন, স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলো না নেওয়ার জন্য এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই স্থগিত থাকা বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে, দুপুরে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন হাজারো এইচএসসি পরীক্ষার্থী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা না দেওয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এরইমধ্যে যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। কারণ হিসেবে আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী আহত হওয়া এবং পড়াশোনায়ও ক্ষতি হওয়ার কথা উল্লেখ করেন তারা।

পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় সচিবের কক্ষের বাইরে পরীক্ষা না দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত অনেক পরীক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন থেকে। এরপর পহেলা জুলাই থেকে চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও এর মধ্যেই ঢাকা বোর্ডের সাতটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বোর্ডের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হয়ে ওঠায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। কয়েক ধাপে পরীক্ষা পেছানো হয়।

সবশেষ শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে এক জরুরি সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা আরো দুই সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থেকে ৫০ নম্বরের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে অর্থাৎ অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।