সিনিয়র রিপোর্টার

ঢাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ও চার তরুণের উপস্থিতিতে বনানীতে সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর মালিকানাধীন ‘প্রিয়প্রাঙ্গণ’ ভবনে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় বিপুল পরিমান নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মধ্যরাতে ভবনটিতে অভিযান শুরু হয়। এ সময় ভবনটি ঘিরে রাখেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা।

অভিযান চলাকালে ভবনটিতে উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, প্রিয়প্রাঙ্গণ ভবনের তিন তলায় হামিদ গ্রুপের অফিসে ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টসের রুমে বড় ভল্টের পাশের টেবিলের ড্রয়ার থেকে ৫০০ টাকার ৪০০টি নোট (মোট দুই লাখ), ১০০০ টাকার ৭৫টি (মোট ৭৫ হাজার), ২০০ টাকার ১০০টি নোট (২০ হাজার), ৫০০ টাকার ২২টি নোট (মোট ১১ হাজার), ১০০ টাকার ২৭টি নোট (মোট ২৭০০) সহ তিন লাখ ৮ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়।

একই রুমে বামদিকের আরেকটি ড্রয়ার থেকে ৫০০ টাকার ১০০টি নোট, ৫০০ টাকার ৩০টি নোট, ১০০ টাকার ১০০টি নোট, ১০০ টাকার ৪৬টি নোট, ৫০০ টাকার চারটি নোট, ১০০ টাকার ৪০টি নোটসহ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়।

সবমিলিয়ে ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস রুমের দুটি ড্রয়ার থেকে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করা হয়।

বিল্ডিংয়ের ছয় তলার হামিদ গ্রুপের অফিসে ১০০০ টাকার ২০টি বান্ডেল পাওয়া যায়। প্রতি বান্ডেলে ১০০টি করে নোট ছিল। ৫০০ টাকার ১২০টি নোট, ১০০ টাকার তিনটি বান্ডেল, ১০০ টাকার নোট ২০টি, ১০০০ টাকার নোট একটিসহ ২০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

এছাড়া এই অফিস থেকে ৫০ পাউন্ডের চারটি নোট, যার একটি ছেড়া, তুর্কি মুদ্রা (লিরা) ২০০ লিরার একটি নোট, ১০০ লিরার মোট দুইটি, ৫০ লিরার নোট একটি, ২০ লিরার নোট একটি, ১০ লিরার নোট চারটিসহ সর্বমোট ৫১০ লিরা জব্দ করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, হামিদ গ্রুপের তিন তলার অফিসে প্রবেশ করে নিচের ফ্লোরে  বিশৃঙ্খল অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া তৃতীয় ফ্লোরের পশ্চিম পাশের অফিসের বিভিন্ন তালা, লিফটের ১০-এর পশ্চিম পাশের অফিস,  লিফটের ১১-এর পূর্ব পাশের অফিস, লিফটের ১২-এর পশ্চিম পাশের অফিস, লিফটের ১৩-এর বাম দিকের অফিস, দরজা ভাঙা এবং বিশৃঙ্খল অবস্থায় পাওয়া যায়।

অভিযানের সময় নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে বিপুলসংখ্যক অর্থায়ন এই ভবনটি থেকেই যায়। এ ঘটনার তথ্য ও প্রমাণ জোগাড় করতেই অভিযান চালানো হয় ভবনের ফ্লোরগুলোতে।