ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাগড়াছড়িতে আবারও বন্যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • 19

অনলাইন ডেস্ক  : খাগড়াছড়িতে আবারও বন্যা। এ নিয়ে গেল ৫০দিনে চারবার ডুবলো চেঙ্গী ও মাইনি নদীর নিম্নাঞ্চালের সহস্রাধিক পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎ করে আবারও ভারি বর্ষণে চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে আবারও পানিতে ডুবলো বন্যার্ত মানুষ। খাগড়াছড়ি পৌর শহরের সাতটি সড়ক এখন পানির নিচে। ফলে শহরের লোকজনও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চেঙ্গী নদীর পানি বুধবার কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে পরিবারগুলো ফিরে গিয়ে  ঘর পরিষ্কার কাজে ব্যস্ত ছিল। রাতে প্রচণ্ড ভারি বৃষ্টি হওয়ায় সকাল বেলায় উঠে দেখে আবারও পানি। ফের আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান হয় পরিবারগুলোর। পৌরসভার মহিলা কলেজ সড়ক, সবজি বাজার, গঞ্জ পাড়া সড়ক, শান্তিনগর, শব্দ মিয়া পাড়া সড়ক খালপাড় এবং মুসলিম পাড়াসহ সাতটি সড়ক পানিতে থৈথৈ করছে।

এদিকে সাজেক সড়ক ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। নতুন করে ডুবেছে দীঘিনালা লংগদু ও বাঘাইছড়ি সড়ক। জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার এলাকার তাইন্দং তবলছড়িসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। একইভাবে পানছড়ি উপজেলার বেশ কয়েককটি গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। ফেনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রামগড় উপজেলায় বেশ কয়েককটি গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। দীঘিনালা উপজেলায়ও মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে  মেরং ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম পানিতে  নিমজ্জিত।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার পাশাপাশি জেলা বিএনপি, জেলা জামায়েতে ইসলামি ও খাগড়াছড়ি মানবকল্যাণ সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন এখন বন্যার্তদের মাঝে খিচুড়ি ও শুকনা খাবার বিতরণ করছে। সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত। ভারি ও অতিভারী বৃষ্টির কারণে এই বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে পরিস্থিতি হয়েছে আরও ভয়াবহ।  এই পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে, এমনটাই জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ সংস্থা আজ বৃহস্পতিবার বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে এবং দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাত কমে আসতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা রাজ্যের অভ্যন্তরীণ অববাহিকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর কাছাকাছি উজানে ভারি বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসতে পারে। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থেকে পরে উন্নতি হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও কাছাকাছি উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে। এ সময় এ অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী, ফেনী, গোমতী, হালদা নদীর নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থেকে পরবর্তী সময়ে উন্নতি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা নদ-নদীর পানি সমতলে কমে যাচ্ছে। অপর দিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এসব নদীর পানি সমতলে কমে যেতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

ট্যাগস

প্রথমবারের মতো শুক্রবার চলল মেট্রোরেল, খুলল কাজীপাড়া স্টেশন

খাগড়াছড়িতে আবারও বন্যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  : খাগড়াছড়িতে আবারও বন্যা। এ নিয়ে গেল ৫০দিনে চারবার ডুবলো চেঙ্গী ও মাইনি নদীর নিম্নাঞ্চালের সহস্রাধিক পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎ করে আবারও ভারি বর্ষণে চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে আবারও পানিতে ডুবলো বন্যার্ত মানুষ। খাগড়াছড়ি পৌর শহরের সাতটি সড়ক এখন পানির নিচে। ফলে শহরের লোকজনও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চেঙ্গী নদীর পানি বুধবার কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে পরিবারগুলো ফিরে গিয়ে  ঘর পরিষ্কার কাজে ব্যস্ত ছিল। রাতে প্রচণ্ড ভারি বৃষ্টি হওয়ায় সকাল বেলায় উঠে দেখে আবারও পানি। ফের আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান হয় পরিবারগুলোর। পৌরসভার মহিলা কলেজ সড়ক, সবজি বাজার, গঞ্জ পাড়া সড়ক, শান্তিনগর, শব্দ মিয়া পাড়া সড়ক খালপাড় এবং মুসলিম পাড়াসহ সাতটি সড়ক পানিতে থৈথৈ করছে।

এদিকে সাজেক সড়ক ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। নতুন করে ডুবেছে দীঘিনালা লংগদু ও বাঘাইছড়ি সড়ক। জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার এলাকার তাইন্দং তবলছড়িসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। একইভাবে পানছড়ি উপজেলার বেশ কয়েককটি গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। ফেনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রামগড় উপজেলায় বেশ কয়েককটি গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। দীঘিনালা উপজেলায়ও মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে  মেরং ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম পানিতে  নিমজ্জিত।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার পাশাপাশি জেলা বিএনপি, জেলা জামায়েতে ইসলামি ও খাগড়াছড়ি মানবকল্যাণ সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন এখন বন্যার্তদের মাঝে খিচুড়ি ও শুকনা খাবার বিতরণ করছে। সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত। ভারি ও অতিভারী বৃষ্টির কারণে এই বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে পরিস্থিতি হয়েছে আরও ভয়াবহ।  এই পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে, এমনটাই জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ সংস্থা আজ বৃহস্পতিবার বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে এবং দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাত কমে আসতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা রাজ্যের অভ্যন্তরীণ অববাহিকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর কাছাকাছি উজানে ভারি বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসতে পারে। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থেকে পরে উন্নতি হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও কাছাকাছি উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে। এ সময় এ অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী, ফেনী, গোমতী, হালদা নদীর নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থেকে পরবর্তী সময়ে উন্নতি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা নদ-নদীর পানি সমতলে কমে যাচ্ছে। অপর দিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এসব নদীর পানি সমতলে কমে যেতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।