ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • 111

নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্যার পানিতে ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায় রেলপথ ডুবে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম।

তিনি জানান, বন্যার পানিতে ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায় রেলপথ ডুবে যাওয়ায় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রেলওয়ের কন্ট্রোল বিভাগ জানায়, ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত রেললাইন পানিতে ডুবে গেছে। সিলেট রুটের কয়েকটি জায়গায় পানি উঠেছে। কুমিল্লায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফেনী স্টেশনে বন্যার পানি জমে রয়েছে। কক্সবাজার রুটের উপর পাহাড় ধসে পড়েছে। এসব কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলরত আন্তঃনগরসহ সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ছেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ট্রেনগুলো গন্তব্যে যেতে পারেনি। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, জামালপুর, সিলেট ও চাঁদপুরে প্রতিদিন ১১টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া কক্সবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহে লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে নিয়মিত।

চট্টগ্রাম রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মনিরুজ্জামান জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত পাহাড়িকা, সুবর্ণ ও সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় আর কোনো ট্রেন ছাড়া হয়নি। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে মালবাহী ট্রেন চলাচলও।

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে ছয় জেলার তথ্য দিয়ে বলেছে, আকস্মিক বন্যায় মোট এক লাখ ৮৯ হজার ৬৬৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১৭ লাখ ৯৬ হাহার ২৪৮ জন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী-আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোর ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

আপডেট সময় ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্যার পানিতে ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায় রেলপথ ডুবে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম।

তিনি জানান, বন্যার পানিতে ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায় রেলপথ ডুবে যাওয়ায় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রেলওয়ের কন্ট্রোল বিভাগ জানায়, ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত রেললাইন পানিতে ডুবে গেছে। সিলেট রুটের কয়েকটি জায়গায় পানি উঠেছে। কুমিল্লায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফেনী স্টেশনে বন্যার পানি জমে রয়েছে। কক্সবাজার রুটের উপর পাহাড় ধসে পড়েছে। এসব কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলরত আন্তঃনগরসহ সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ছেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ট্রেনগুলো গন্তব্যে যেতে পারেনি। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, জামালপুর, সিলেট ও চাঁদপুরে প্রতিদিন ১১টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া কক্সবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহে লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে নিয়মিত।

চট্টগ্রাম রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মনিরুজ্জামান জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত পাহাড়িকা, সুবর্ণ ও সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় আর কোনো ট্রেন ছাড়া হয়নি। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে মালবাহী ট্রেন চলাচলও।

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে ছয় জেলার তথ্য দিয়ে বলেছে, আকস্মিক বন্যায় মোট এক লাখ ৮৯ হজার ৬৬৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১৭ লাখ ৯৬ হাহার ২৪৮ জন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী-আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোর ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।