ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুল্কমুক্ত সুবিধায় সাবেক এমপিদের ৪৪ বিলাসবহুল গাড়ি আটকে দিয়েছে কাস্টমস

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • 107

সিনিয়র রিপোর্টার

শুল্কমুক্ত সুবিধায় সাবেক এমপিদের জন্য আমদানি করা ৪৪টি বিলাসবহুল গাড়ি আটকে দিয়েছে শুল্ক বিভাগ। সরকার পতনের পর তাদের সংসদ সদস্যপদ না থাকায় গাড়িগুলো আটকে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা জানান, খালাসের অপেক্ষায় থাকা এসব গাড়ির জন্য আমদানিকারকরা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না। তাদের স্বাভাবিক হারে শুল্ককর পরিশোধ করে গাড়ি খালাস করতে হবে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভারের তথ্য ও সংশ্লিষ্ট তিন কাস্টম স্টেশন কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৭টি গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে কাস্টমস। চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর ও কমলাপুর আইসিডি দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ির খালাসের দায়িত্বে ছিলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নাভানা লিমিটেড, গোল্ডেন স্টার এজেন্সি এবং ছেরি ইন্টারপ্রাইজসহ ছয়-সাতটি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো এখনো সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে নিবন্ধন করা হয়নি। 

এনবিআরের নথি অনুযায়ী, গত (১ থেকে ১৫) আগস্টের মধ্যে এমপি সুবিধায় খালাস নেয়া ৭টি গাড়ির বিষয়ে আইন মন্ত্রণায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নে‌য়া হবে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা। এগুলো আমদানি করেছেন ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের ফয়জুর রহমান, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের গোলাম ফারুক পিংকু, নাটোর-১ আসনের আবুল কালাম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের মুজিবুর রহমান মঞ্জু এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরি। আরেকজন সাবেক সংসদ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।

এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, বর্তমানে খালাসের অপেক্ষায় থাকা এই ৫১টি গাড়ি ( যার বেশিরভাগই টয়োটা, ল্যান্ড ক্রুজার ও ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো) আমদানি মূল্য প্রায় ৬১ কোটি টাকা। সবচেয়ে কম দামের ল্যান্ড ক্রুজারটি আমদানি করা হয়েছিল ৯৮ লাখ টাকার সামান্য কিছু কমে। শুল্ক দিতে গেলে গাড়িটির দাম পড়বে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা ৩৩৪৬সিসির এ গাড়িটির স্বাভাবিক শুল্ককর হার ৮২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আমদানি করা এসব গাড়ির বেশিরভাগই জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয়েছে। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, টয়োটা জিপ, টয়োটা এল.সি স্টেশন ওয়াগটের এসব গাড়িগুলোর ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ৩০০০-৪০০০ সিসি।

কাস্টমসের নথি অনুযায়ী, গত ১৭ জুলাই সিঙ্গাপুরের টয়োটা স্টোশু এশিয়া প্যাসিফিক পিটিই লিমিটেড থেকে ১ দশমিক ২৭ কোটি টাকা মূল্যের টয়োটা এল সি স্টেশন ওয়াগন জিআর-এস মডেলের একটি গাড়ি আমদানি করেন সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। সাকিব আল হাসানের পক্ষে এ গাড়িটি খালাসের জন্য কাস্টমসে নথি দাখিল করে নাভানা লিমিটেড। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা ৩৩৪৬ সিসির এ গাড়িটির স্বাভাবিক শুল্ককর হার ৮২৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল গণমাধ্যমকে বলেন, এমপি সুবিধায় আনা গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আমরা এনবিআরের ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করি। এনবিআর থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ছাড় পেলে আমাদের এখানে রেজিস্ট্রেশন করতে কোনো বাধা নেই। তবে সংসদ ভেঙে দেওয়ায় এখন এমপি সুবিধায় আনা ভিন্ন নামে রেজিস্ট্রেশন হওয়ার সুযোগ আছে। সে বিষয়ে বিআরটিএ সতর্ক থাকবে এবং প্রয়োজনে এনবিআরের মতামত নেওয়া হবে। এসব গাড়ির তালিকা পেলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, সম্প্রতি যেসব গাড়ি খালাস হয়েছে তা ৬ আগস্টের আগে শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন ছিল। ফলে আইনানুগভাবে তা আটক করার সুযোগ ছিল না। তবে যেসব গাড়ি ৬ আগস্টের পরে আমদানি হয়েছে তা খালাসের সুযোগ নেই। এ ধরনের গাড়ি খালাস করতে হলে শুল্ককর পরিশোধ সাপেক্ষে খালাস করতে হবে। সংসদীয় আসনে এমপিদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ সুবিধা দেয়া হয়। বর্তমানে সংসদ ভেঙে দেয়ায় তা শুল্কমুক্ত সুবিধায় খালাসের সুযোগ নেই। আইন অনুযায়ী, স্বাভাবিক হারে শুল্ককর পরিশোধ করেই খালাসের অপেক্ষায় থাকা গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে হবে।

আইন প্রণেতাদের খুশি করতে ১৯৮৭ সালে এইচ এম এরশাদের শাসনামলে শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা চালু করা হয়েছিল। ১৯৮৮ সালের ২৪ মে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর অধীনে সংসদ সদস্যরা প্রতি পাঁচ বছরে একবার শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করতে পারেন। সেভাবেই এতোদিন গাড়ি কিনতেন সংসদ সদস্যরা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল এমপিদের গাড়ি আমদানিতে কর মওকুফের কারণে গত ১৫ বছরে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে ৫১৪৭ কোটি টাকা। তবে তা গৃহীত হয়নি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার একদিন পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সংসদ ভেঙে দিলে সংসদ সদস্যরা সংসদে তাদের সদস্যপদ এবং করমুক্ত গাড়ির মতো সুযোগ-সুবিধা হারান।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শুল্কমুক্ত সুবিধায় সাবেক এমপিদের ৪৪ বিলাসবহুল গাড়ি আটকে দিয়েছে কাস্টমস

আপডেট সময় ০৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

শুল্কমুক্ত সুবিধায় সাবেক এমপিদের জন্য আমদানি করা ৪৪টি বিলাসবহুল গাড়ি আটকে দিয়েছে শুল্ক বিভাগ। সরকার পতনের পর তাদের সংসদ সদস্যপদ না থাকায় গাড়িগুলো আটকে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা জানান, খালাসের অপেক্ষায় থাকা এসব গাড়ির জন্য আমদানিকারকরা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না। তাদের স্বাভাবিক হারে শুল্ককর পরিশোধ করে গাড়ি খালাস করতে হবে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভারের তথ্য ও সংশ্লিষ্ট তিন কাস্টম স্টেশন কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৭টি গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে কাস্টমস। চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর ও কমলাপুর আইসিডি দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ির খালাসের দায়িত্বে ছিলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নাভানা লিমিটেড, গোল্ডেন স্টার এজেন্সি এবং ছেরি ইন্টারপ্রাইজসহ ছয়-সাতটি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো এখনো সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে নিবন্ধন করা হয়নি। 

এনবিআরের নথি অনুযায়ী, গত (১ থেকে ১৫) আগস্টের মধ্যে এমপি সুবিধায় খালাস নেয়া ৭টি গাড়ির বিষয়ে আইন মন্ত্রণায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নে‌য়া হবে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা। এগুলো আমদানি করেছেন ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের ফয়জুর রহমান, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের গোলাম ফারুক পিংকু, নাটোর-১ আসনের আবুল কালাম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের মুজিবুর রহমান মঞ্জু এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরি। আরেকজন সাবেক সংসদ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।

এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, বর্তমানে খালাসের অপেক্ষায় থাকা এই ৫১টি গাড়ি ( যার বেশিরভাগই টয়োটা, ল্যান্ড ক্রুজার ও ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো) আমদানি মূল্য প্রায় ৬১ কোটি টাকা। সবচেয়ে কম দামের ল্যান্ড ক্রুজারটি আমদানি করা হয়েছিল ৯৮ লাখ টাকার সামান্য কিছু কমে। শুল্ক দিতে গেলে গাড়িটির দাম পড়বে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা ৩৩৪৬সিসির এ গাড়িটির স্বাভাবিক শুল্ককর হার ৮২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আমদানি করা এসব গাড়ির বেশিরভাগই জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয়েছে। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, টয়োটা জিপ, টয়োটা এল.সি স্টেশন ওয়াগটের এসব গাড়িগুলোর ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ৩০০০-৪০০০ সিসি।

কাস্টমসের নথি অনুযায়ী, গত ১৭ জুলাই সিঙ্গাপুরের টয়োটা স্টোশু এশিয়া প্যাসিফিক পিটিই লিমিটেড থেকে ১ দশমিক ২৭ কোটি টাকা মূল্যের টয়োটা এল সি স্টেশন ওয়াগন জিআর-এস মডেলের একটি গাড়ি আমদানি করেন সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। সাকিব আল হাসানের পক্ষে এ গাড়িটি খালাসের জন্য কাস্টমসে নথি দাখিল করে নাভানা লিমিটেড। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা ৩৩৪৬ সিসির এ গাড়িটির স্বাভাবিক শুল্ককর হার ৮২৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল গণমাধ্যমকে বলেন, এমপি সুবিধায় আনা গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আমরা এনবিআরের ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করি। এনবিআর থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ছাড় পেলে আমাদের এখানে রেজিস্ট্রেশন করতে কোনো বাধা নেই। তবে সংসদ ভেঙে দেওয়ায় এখন এমপি সুবিধায় আনা ভিন্ন নামে রেজিস্ট্রেশন হওয়ার সুযোগ আছে। সে বিষয়ে বিআরটিএ সতর্ক থাকবে এবং প্রয়োজনে এনবিআরের মতামত নেওয়া হবে। এসব গাড়ির তালিকা পেলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, সম্প্রতি যেসব গাড়ি খালাস হয়েছে তা ৬ আগস্টের আগে শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন ছিল। ফলে আইনানুগভাবে তা আটক করার সুযোগ ছিল না। তবে যেসব গাড়ি ৬ আগস্টের পরে আমদানি হয়েছে তা খালাসের সুযোগ নেই। এ ধরনের গাড়ি খালাস করতে হলে শুল্ককর পরিশোধ সাপেক্ষে খালাস করতে হবে। সংসদীয় আসনে এমপিদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ সুবিধা দেয়া হয়। বর্তমানে সংসদ ভেঙে দেয়ায় তা শুল্কমুক্ত সুবিধায় খালাসের সুযোগ নেই। আইন অনুযায়ী, স্বাভাবিক হারে শুল্ককর পরিশোধ করেই খালাসের অপেক্ষায় থাকা গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে হবে।

আইন প্রণেতাদের খুশি করতে ১৯৮৭ সালে এইচ এম এরশাদের শাসনামলে শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা চালু করা হয়েছিল। ১৯৮৮ সালের ২৪ মে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর অধীনে সংসদ সদস্যরা প্রতি পাঁচ বছরে একবার শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করতে পারেন। সেভাবেই এতোদিন গাড়ি কিনতেন সংসদ সদস্যরা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল এমপিদের গাড়ি আমদানিতে কর মওকুফের কারণে গত ১৫ বছরে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে ৫১৪৭ কোটি টাকা। তবে তা গৃহীত হয়নি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার একদিন পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সংসদ ভেঙে দিলে সংসদ সদস্যরা সংসদে তাদের সদস্যপদ এবং করমুক্ত গাড়ির মতো সুযোগ-সুবিধা হারান।