ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজউকে আওয়ামী লীগ আমলে চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই শীর্ষ কর্মকর্তা এখনও বহাল তবিয়তে!

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • 100
অনলাইন ডেস্ক  :  

রাজধানী উন্নয়ন কর্তপক্ষ (রাজউক) যেন এক সোনার খনি। এই প্রতিষ্ঠানে কোন কর্মকর্তা একবার নিয়োগ পেলে তার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় না। আর অন্য কোন ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রেষনে এলে তিনি আর স্ব-ডিপার্টমেন্টেও ফিরে যেতে চান না। এখানে যোগদান করা মাত্রই তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হাতে আসে কোটি কোটি টাকা। সেই সাথে রাজউকের প্লটতো আছেই। যখন যে দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকে তখনই সেই সরকারের মদদপুষ্ঠ লোক পদায়ন করা হয় এই প্রতিষ্ঠানে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় দুর্নীতি। এ সব বিষয়ে গণমাধ্যমে বা সংবাদপত্রে প্রায়ই সংবাদ প্রচার হয় কিন্তু রাজউকের ঘুস-দুর্নীতি আর বন্ধ হয় না। বরং সেটি দিন দিন বাড়তেই থাকে। আর নিয়ন্ত্রানাধীণ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপহার-উপঢৌকন পেয়ে ঘুমিয়ে থাকেন উদ্বেগহীন। 

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে এক সময় চেয়ারম্যান পদে গণপূর্ত অধিদপ্তরের দক্ষ প্রকৌশলীদের  চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতো।  এতেকরে  প্রতিষ্ঠানটি তার পেশাদারিত্ব ধরে রাখতে সক্ষম হতো। নগরবাসীও পেতো কাংখিত সেবা। পরিকল্পিত নগরায়ণ ও আবাসন সমস্যা সমাধানে রাজউক মোটামুটি সফল হতো। তবে বিগত দেড় দশক স্বৈরাচার হাসিনা সরকার আমলে এই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার লক্ষে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি দলীয়করণ করার জন্য শেখ পরিবাবের নিকট আত্মীয়দের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করা হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। সেই থেকে প্রশাসনিক নানা সংকটে জ¦লছে রাজউক। সেই আগুন আর কেউ নিভাতে পারে নি। এখন ঘুস ছাড়া রাজউকে কোন কাজই হয় না। ফাইল গায়েব হয়ে যায়। জাল ফাইল অনুমোদন পায়। সরকারের একান্ত লোকগুলো তরতর করে প্লট পেয়ে যায়। এদের মধ্যে দলীয় মন্ত্রী, এমপি, সচিব, নেতা, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, সাংবাদিক, পুলিশ, নায়িকা, গায়িকা এমন কি প্রবাসীও রয়েছে। আরো আছেন রাজউকের প্রভাবশালী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

একাধিক সুত্রে জানাগেছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউকে) বর্তমানে যে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন তাদের মধ্যে ৯০% ই দুর্নীতিগ্রস্থ। তাদের প্রত্যেকেরই ঢাকায় একাধিক বিলাশবহুল বাড়ী,গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনেকের আবার বিদেশেও বাড়ী রয়েছে। এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা দুর্নীতি দমন কমিশনকেও ভয় পান না। তারা অবৈধ অর্থের প্রয়োগ করে নিজেদের নিরাপদ রেখেছেন বছরের পর বছর।

দুদক সুত্রে জানা গেছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা ও  কর্মচারিদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের অনুসন্ধান ও তদন্ত  চলমান রয়েছে। তবে এগুলো আর কত বছর চলমান থাকবে সেটাই সকলের প্রশ্ন। সম্প্রতি ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হলেও রাজউক থেকে তার নিযোগকৃত দুর্নীতিবাজ অযোগ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বদলী বা অপসারণ করা হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজউকের শীর্ষ দুই পদে রদবদল না করায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সবাই বলাবলি করছে; “যে লক্ষ্য নিয়ে ছাত্র-জনতা জীবন বিলিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করলো রাজউকে তাদের সেই লক্ষ্য কি পুরণ হবে না?’’

জানাগেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকীর সরাসরি হস্তক্ষেপে গত ৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে রাজউকে চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার। তিনি এই পদে যোগদান করেই সরকারের স্পেশাল প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফলে রাজউকে চরম বৈষম্য ও অস্থিরতা  তৈরি হয়। কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে কর্মস্পৃহা কমে যায়। ব্যাপক বদলীর কারণে গতি হারায় দৈনন্দিন কর্মকান্ড। রাজউক এক বন্ধ্যা প্রতিষ্ঠানে রুপ লাভ করে। অনেককেই বলতে শোনা যায় যে, পাবলিক সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে (অব:) সেনা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে।

সুত্রমতে, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকারকে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক  নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন ও অতীতের ধারাবাহিকতা লংঘন করা হয়েছে। পাবলিক ফাংশনে অনভিজ্ঞ একজন (অব:) সেনা কর্মকর্তা প্রকৌশল বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে কতটুকু জ্ঞান রাখেন সেটাই বিবেচনা করা হয়নি। তাছাড়া যেহেতু তিনি আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং  সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকীর লোক; সেহেতু বর্তমান সরকারের জন্য অবশ্যই বিপজ্জনক বটে। তাই তাকে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে বহাল রাখা কোন ভাবেই সমীচিন নয় বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

অপরদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত অনুগত লোক খ্যাত আরেক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হচ্ছেন, মেজর অব: (ইঞ্জি:) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী। তিনি শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম সাক্ষী। আর সেই কাজের পুরস্কার স্বরুপ ৬ বছর আগে গত ০১/০১/২০১৮ ইং তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশে তাকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদায়  সদস্য (উন্নয়ন) পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর সেই নিয়োগ আজো বহাল রয়েছে। সরকারের পটপরিবর্তনের পরেও তাকে সদস্য (উন্নয়ন) পদ থেকে অপসারণ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়নি।  এতেকরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন রাজউকের দেশ প্রেমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ। তাদের প্রশ্ন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের শীর্ষ দুই পদে আর কতদিন রাখা হবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আর্শীবাদপুষ্ট অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের? এ বিষয়ে তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সহ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজউকে আওয়ামী লীগ আমলে চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই শীর্ষ কর্মকর্তা এখনও বহাল তবিয়তে!

আপডেট সময় ০৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক  :  

রাজধানী উন্নয়ন কর্তপক্ষ (রাজউক) যেন এক সোনার খনি। এই প্রতিষ্ঠানে কোন কর্মকর্তা একবার নিয়োগ পেলে তার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় না। আর অন্য কোন ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রেষনে এলে তিনি আর স্ব-ডিপার্টমেন্টেও ফিরে যেতে চান না। এখানে যোগদান করা মাত্রই তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হাতে আসে কোটি কোটি টাকা। সেই সাথে রাজউকের প্লটতো আছেই। যখন যে দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকে তখনই সেই সরকারের মদদপুষ্ঠ লোক পদায়ন করা হয় এই প্রতিষ্ঠানে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় দুর্নীতি। এ সব বিষয়ে গণমাধ্যমে বা সংবাদপত্রে প্রায়ই সংবাদ প্রচার হয় কিন্তু রাজউকের ঘুস-দুর্নীতি আর বন্ধ হয় না। বরং সেটি দিন দিন বাড়তেই থাকে। আর নিয়ন্ত্রানাধীণ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপহার-উপঢৌকন পেয়ে ঘুমিয়ে থাকেন উদ্বেগহীন। 

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে এক সময় চেয়ারম্যান পদে গণপূর্ত অধিদপ্তরের দক্ষ প্রকৌশলীদের  চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতো।  এতেকরে  প্রতিষ্ঠানটি তার পেশাদারিত্ব ধরে রাখতে সক্ষম হতো। নগরবাসীও পেতো কাংখিত সেবা। পরিকল্পিত নগরায়ণ ও আবাসন সমস্যা সমাধানে রাজউক মোটামুটি সফল হতো। তবে বিগত দেড় দশক স্বৈরাচার হাসিনা সরকার আমলে এই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার লক্ষে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি দলীয়করণ করার জন্য শেখ পরিবাবের নিকট আত্মীয়দের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করা হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। সেই থেকে প্রশাসনিক নানা সংকটে জ¦লছে রাজউক। সেই আগুন আর কেউ নিভাতে পারে নি। এখন ঘুস ছাড়া রাজউকে কোন কাজই হয় না। ফাইল গায়েব হয়ে যায়। জাল ফাইল অনুমোদন পায়। সরকারের একান্ত লোকগুলো তরতর করে প্লট পেয়ে যায়। এদের মধ্যে দলীয় মন্ত্রী, এমপি, সচিব, নেতা, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, সাংবাদিক, পুলিশ, নায়িকা, গায়িকা এমন কি প্রবাসীও রয়েছে। আরো আছেন রাজউকের প্রভাবশালী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

একাধিক সুত্রে জানাগেছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউকে) বর্তমানে যে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন তাদের মধ্যে ৯০% ই দুর্নীতিগ্রস্থ। তাদের প্রত্যেকেরই ঢাকায় একাধিক বিলাশবহুল বাড়ী,গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনেকের আবার বিদেশেও বাড়ী রয়েছে। এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা দুর্নীতি দমন কমিশনকেও ভয় পান না। তারা অবৈধ অর্থের প্রয়োগ করে নিজেদের নিরাপদ রেখেছেন বছরের পর বছর।

দুদক সুত্রে জানা গেছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা ও  কর্মচারিদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের অনুসন্ধান ও তদন্ত  চলমান রয়েছে। তবে এগুলো আর কত বছর চলমান থাকবে সেটাই সকলের প্রশ্ন। সম্প্রতি ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হলেও রাজউক থেকে তার নিযোগকৃত দুর্নীতিবাজ অযোগ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বদলী বা অপসারণ করা হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজউকের শীর্ষ দুই পদে রদবদল না করায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সবাই বলাবলি করছে; “যে লক্ষ্য নিয়ে ছাত্র-জনতা জীবন বিলিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করলো রাজউকে তাদের সেই লক্ষ্য কি পুরণ হবে না?’’

জানাগেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকীর সরাসরি হস্তক্ষেপে গত ৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে রাজউকে চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার। তিনি এই পদে যোগদান করেই সরকারের স্পেশাল প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফলে রাজউকে চরম বৈষম্য ও অস্থিরতা  তৈরি হয়। কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে কর্মস্পৃহা কমে যায়। ব্যাপক বদলীর কারণে গতি হারায় দৈনন্দিন কর্মকান্ড। রাজউক এক বন্ধ্যা প্রতিষ্ঠানে রুপ লাভ করে। অনেককেই বলতে শোনা যায় যে, পাবলিক সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে (অব:) সেনা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে।

সুত্রমতে, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকারকে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক  নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন ও অতীতের ধারাবাহিকতা লংঘন করা হয়েছে। পাবলিক ফাংশনে অনভিজ্ঞ একজন (অব:) সেনা কর্মকর্তা প্রকৌশল বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে কতটুকু জ্ঞান রাখেন সেটাই বিবেচনা করা হয়নি। তাছাড়া যেহেতু তিনি আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং  সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকীর লোক; সেহেতু বর্তমান সরকারের জন্য অবশ্যই বিপজ্জনক বটে। তাই তাকে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে বহাল রাখা কোন ভাবেই সমীচিন নয় বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

অপরদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত অনুগত লোক খ্যাত আরেক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হচ্ছেন, মেজর অব: (ইঞ্জি:) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী। তিনি শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম সাক্ষী। আর সেই কাজের পুরস্কার স্বরুপ ৬ বছর আগে গত ০১/০১/২০১৮ ইং তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশে তাকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদায়  সদস্য (উন্নয়ন) পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর সেই নিয়োগ আজো বহাল রয়েছে। সরকারের পটপরিবর্তনের পরেও তাকে সদস্য (উন্নয়ন) পদ থেকে অপসারণ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়নি।  এতেকরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন রাজউকের দেশ প্রেমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ। তাদের প্রশ্ন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের শীর্ষ দুই পদে আর কতদিন রাখা হবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আর্শীবাদপুষ্ট অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের? এ বিষয়ে তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সহ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন।